1. masudkhan89@yahoo.com : Ghoshana Desk :
  2. zunayedafif18@gmail.com : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. masudkhan89@gmail.com : Masud Khan : Masud Khan
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বিতর্কিত অফিস আদেশ এলজিইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম যাবে চীনের বাজারে, খুশি চাষিরা নওগাঁয় ১৭১৯ কেজি সরকারি চাল জব্দ অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থী’র মৃত্যু পীরগঞ্জে রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদারী পেলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী পলাতক আ’লীগ নেতা! কেসিসির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে মঞ্জুর করা মামলার শুনানি ৪ মে। বাবা-মেয়েকে অপহরণ করে নির্যাতনের দায়ে চাচা-ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা, প্রাণনাশের হুমকিতে পরিবার পলাশ উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করতে পেরে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। শিশুদের সাথে সব সময় ইতিবাচক আচরন করতে হবে, কেএমপি পুলিশ কমিশনার। গফরগাঁওয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বিতর্কিত অফিস আদেশ এলজিইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ২১৫৯ দেখেছেন

এস এম রফিকুল ইসলাম: স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের ক্ষমতার অপব্যবহার ও সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। নানান অভিযোগ নিয়ে তিনি এখনো মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে। অন্তবর্তীকালীন সরকারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা না থাকায় স্থানীয় সরকারের সচিব স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তারা। জানা গেছে, আওমালীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা না থাকার সুযোগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে অর্পিত ক্ষমতা তথা প্রকৌশলীগণকে বদলি বা পদায়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা রহিত করেন। রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রতিটি নীতিনির্ধারণী বিষয়ক কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বা উপদেষ্টাকে অবহিত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে অবহিত না করে এলজিইডির ওপর অর্পিত ক্ষমতা রহিত করেছেন। এর ফলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে মারাত্মক বিঘেœর সৃষ্টি হবে। জানা গেছে, এলজিইডি দেশের সর্ববৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। এখানে প্রায় ১৩ হাজার ৩৯৪ জনকর্মচারী কর্মরত। এর মধ্যে এক হাজার ৪৩৮ জন ১ম শ্রেণির (৯ম-৬ষ্ঠ গ্রেডভুক্ত) এবং ২৩৪ জন ৫ম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত প্রকৌশলী। এলজিইডির যাত্রা শুরু পূর্ত কর্মসূচি হিসেবে, তৎপরবর্তীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরো এবং সর্বোপরি এলজিইডি। অত্যন্ত ডিসেন্ট্রালাইজড এলজিইডির প্রায় ৯৯ শতাংশ কর্মচারীই কাজ করে মাঠপর্যায়ে। সমগ্র বাংলাদেশে এলজিইডি’র বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন, পরিকল্পনা ও মনিটরিং করা হয়। সদর দপ্তরে কর্মরত কতিপয় প্রকৌশলীগণকে নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর (গ্রেড-১) নেতৃত্বে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ও কাজের গুণগত মান সম্পর্কে জবাবদিহিও করতে হয় প্রধান প্রকৌশলীকে। এ প্রেক্ষিতে সঠিক সময়ে সঠিক মানের কাজ বাস্তবায়ন করতে ও প্রকৌশলীগণের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং পদায়ন সংক্রান্ত জটিলতা পরিহার করে প্রকৌশলীগণের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে উপযুক্ত পদে পদায়নের মাধ্যমে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি যথাসময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান প্রকৌশলীকে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১৩/৬/৮৫ ইং তারিখের এস-৫/৯ সি-৪/৮৫/২৮৯(৫২৬) নম্বর স্মারক, ১৫/০৯/৯৬ ইং তারিখের স্মারক নং- সা. প্র. অ.-১/৯ ই-৬৯/৯৪/২৮২ এবং ২১ আগস্ট ২০১৬ তারিখের ৪৬.০৬৭.০১৫.০০.০০.০৬৬.২০১৫-৭০৯ স্মারকে এলজিইডি’র ১ম-৫ম ভুক্ত প্রকৌশলীগণকে (সদর দপ্তর, বিভাগ, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা) বদলি বা পদায়নের ক্ষমতা প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি’র ওপর ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু অতি স¤প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে গত ৭ আগস্ট থেকে স্মারক নম্বর : ৪৬.০৬৭.০১৫.০০.০০.০৬৬.২০১৫-৬০১ এর মাধ্যমে তা রহিত করে। এ বিষয়ে প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী মো: মতিউর রহমান বলেন, এলজিইডি সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও শহীদুল হাসানের আমলে এলইজিডি একটি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হতো। তাদের প্রচেষ্টার কারণে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকান্ড দেশের তৃনমূল পর্যায়ে বিস্তৃত। কিন্তু অতান্ত্য দুঃখের বিষয় আওমালীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিপত্র নং: ৪৬.০৬৭.০১৫.০০.০০.০৬৬.২০১৫-৭৮৬ এর বলে এলজিইডির প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। এতে করে প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষমতা রহিত হয়। যা সম্পূর্ণ বিধি-বিধান এবং শৃঙ্গলা পরিপন্থী। সর্বশেষ বিগত ০৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখের উপসচিব জেসমিন পারভীন কর্তৃক স্বাক্ষরকৃত একটি অফিস আদেশ জারি করেন। এতে করে এলজিইডির সমস্ত প্রশাসনিক কর্মকান্ড মন্ত্রনালয়ের হাতে চলে গেল। এই প্রেক্ষিতে প্রধান প্রকৌশলীর উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। যা দেশের সামগ্রীক উন্নয়নের স্বার্থে কোনভাবেই কাম্য নয়। এটি একটি বৈষম্য বিরোধী সিদ্ধান্ত । অচিরেই উপদেষ্টা এ সিদ্ধান্তটিকে বিচার বিশ্লেষন করে বাতিল করবেন বলে আমি আশাবাদী। এই ব্যাপারে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি ইতিপূর্বে ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসক থাকার সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ তৈরি হওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে নরসিংদী জেলায় বদলি করা হয়। ফরিদপুর জেলায় তার কর্মকান্ডের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নরসিংদী জেলাতেও তার ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রদর্শনীর অভিযোগ উঠে। জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপারের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় পুলিশ সুপারের ওপর আক্রশের প্রেক্ষিতে জেলা জজ কর্তৃক তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয় এবং জেলে নেওয়ার প্রাক্কালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে মন্ত্রণালয়ে বদলি করার মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। শুধুমাত্র আওয়ামী দলীয় পরিচয়ে তাকে আইএমইডিতে সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়। এখানেও তিনি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন রকম ভাতা ভাউচারের মাধ্যমে বিতর্কিত সৃষ্টি করেন। ফলে তার অধীনস্থ জুনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তিনি তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে চরম দুর্ব্যবহার অব্যাহত রাখায় অধীনস্থদের হাতে তাকে লাঞ্ছিত হওয়ার খবর রয়েছে। তার চাকরি জীবনে, ক্ষমতার অপব্যবহার, অন্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা সত্তে¡ও শুধুমাত্র আওয়ামী দলীয় ক্যাডার হওয়ার কারণে তাকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে সচিব হিসেবে পদায়ন করেন। এখানে যোগদান করেও তিনি তার বিতর্কিত কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শত শত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, স্থানীয় সরকার বিভাগ এই অভিযুক্ত সচিবের রাহুগ্রাস হতে এখনও মুক্ত হতে পারেনি। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী তাজুল ইসলামের অবৈধ অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে এলজিইডিতে পদায়নে যে বাণিজ্য আরম্ভ করেছিলের তাদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায়ে প্রকৌশলীগণের বদলি বা পদায়ন সংক্রান্ত এরকম একটি কালো পরিপত্র জারি করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com