নিজস্ব প্রতিবেদক লোহাগাড়া:
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া পদুয়া তৈওয়ারী হাট দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ ও বহুল প্রচারিত বাজার, বার্ষিক টোল আদায় প্রায় ২ কোটি টাকার উপরে, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে গরু ছাগল ক্রয় করতে চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ক্রেতাদের আগমন ঘটে, আগামী বুধবার প্রথম কোরবানির জন্য পশুর হাট বসতে যাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় পদুয়া স্কুল মাঠ নামে পরিচিত পশুর বাজার বসার জন্য সুশৃঙ্খল ভাবে সুসজ্জিত রূপে কুঠি দিয়ে গরু রাখার জন্য গত ৫/৬ দিন গরু বিক্রেতাগন প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।আজ সকাল ১২ টার দিকে স্কূলের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন সহকারী শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঐ মাঠে গরু বিক্রির বাজার না বসার জন্য ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে নৌটিশ টাংগিয়ে দেয়, জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, ইজারাদারের পক্ষের লোকজনের মধ্যে থেকে আলমগীর হোসেন জানান দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে কোরবানির ঈদের সময় দুই টা দিন ঐ মাঠে গরু ছাগলের বাজার বসে, কখনো কোনো সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধা প্রদান করে নাই, জায়গার মালিকের পক্ষ থেকেও কখনো কোনো সময় বাধা প্রদান করে নাই,আজ হঠাৎ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত আমার বোধগম্য নয়, স্কুলের কোন ক্ষতি হলে? ইজারাদারের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে,বা উপজেলা প্রশাসনের নিকট আইনগত সহায়তা চাইতে পারে, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
প্রধান শিক্ষক সন্ত্রাসী কায়দায় স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের নিয়ে বাজার দংশের চেষ্টা করবে,এটা কখনো মেনে নেয়া যায় না, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠায় শিক্ষা অর্জনের জন্য, ন্যায় নীতি,আদব কায়দা শিক্ষার জন্য। এখন দেখতে পাচ্ছি পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন ছেলেদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় জায়গা দখলের শিক্ষা দিচ্ছে। ছাত্রদের নিয়ে জায়গা দখল করতে হলে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কি প্রয়োজন? ।
এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন জানাই আমরা আমাদের স্কুলের সম্পদ রক্ষা করতে এই ব্যবস্থা নিচ্ছি, এক প্রশ্নের জবাবে বলছেন, আমাদের জায়গায় কেন পশুর বাজার বসে, আমরা স্কুলের পক্ষে যা করনীয় তা করা হবে, প্রয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এলাকাবাসী উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে, এলাকাবাসী পক্ষে নুরুল আলম মুন্সি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্কুল ও বাজারের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে একটা ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়।
Leave a Reply