বিশেষ প্রতিনিধি নাহিদা আক্তার পপি:
আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী থাকলেও জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম আনারস প্রতীকে ও সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান ঘোড়া প্রতীকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের গুঞ্জরন শুনা যাচ্ছে লোখমুখে।তবে কয়েকটি কারণে এগিয়ে আছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম।তিনি রাজনীতির মাঠে অত্যন্ত দক্ষ।
বক্তৃতায় রয়েছে জনগণকে আকর্ষণ করার চুম্বকীয় ক্ষমতা। হাসিমাখা ও বিপ্লবী চিন্তাভাবনায় তরুণদের আকর্ষণ করেছেন। এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মাঠে দাপটের সাথে চষিয়ে বেড়াচ্ছেন ।তরুণরা পরিবর্তন চায় আর এই পরিবর্তনের আশায় পাস করার নেশায় মাঠে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তার ও তার দলীয় সমর্থকরা।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগের সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ও সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী মোস্তফা শহিদের ছেলে নেজামুল হক মোস্তফা শহীদও পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের প্রচারণায় কাজ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন দরবারের পীর সাহেব,শিক্ষক নেতাদের বড় একটি অংশ ,সিএনজি চালকরা তার পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।ভোট দিয়ে পাশ করাতে হিন্দু জনগোষ্ঠীদের প্রায় সকলেই এই প্রার্থীর জন্য মড়িয়া।
আওয়ামীলীগের উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে বিভিন্ন সমাবেশ করছেন।এক্ষেত্রে যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আপন মিয়া বলছেন, জাতে মাতাল তালে ঠিক এরই নাম আওয়ামীলীগ। যেকোনো দুঃসময়ে আমরা একত্রিত হয়ে সংকট মোকাবেলা করেছি।তরুণরা জেগে উঠেছে এখানে টাকার জোরের চেয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জোর তথা জনগণের মনের সমর্থনের বিজয় হবে।
অন্যদিকে সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।তাই তার ভাতিজা ইশতিয়াক চৌধুরী তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছেন। বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।মূল বিএনপি’র একটি বড় অংশ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বরং প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ এই সরকারের দামে নির্বাচন বর্জনের দাবিও তুলছেন।
মাধবপুরের আওয়ামীলীগ নেতা শ্রীধাম দাশগুপ্ত জানান,অসীম ভাই আমার এলাকার জননন্দিত নেতা। তার ভোটের ময়দানে তার কাছে কেউ আসতে পারবে না। একটি পক্ষ ভোটকে কেনার জন্য বিকাশ ও নগদে লেনদেন করছেন। এ বিষয়ে দুদক ও প্রশাসনকে তদন্ত করে মানিলন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply