মোঃ এনামুল হক,স্টাফ রিপোর্টারঃ শরিয়তপুর সদর বিলাশ খান(দক্ষিন)এলাকার বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার সিকদার এর সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা সিকদার(৫০)কে ২৭মে-২০২৪ইং রোজ সোমবার দুপুর ২টার সময় তার নিজবাড়ীর থেকে গলায় রশি দিয়ে ঘরের ভিতর নিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে নাজমুল বেপারি নামের এক যুবক।সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় যে উক্ত সেলিনা সিকদার এর জমাজমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।২০২২ইং সালে একই ঘটনা ঘটায় নাজমুল বেপারী নামের এক যুবক,ওইদিন সেলিনা নামের বৃদ্ধা মহিলাকে শরীলের বিভিন্ন জায়গাতে আঘাত করে।এব্যাপারে শরিয়তপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিন্তু অভিযোগ করে ও কোন সমাধান পাই নাই।শাহাদত নামের ব্যক্তির সাথে ৬৭শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এবং জমির বিষয় নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে।তবে সেলিনা সিকদারকে হত্যা করার পূর্ব পরিকল্পনা করে শাহাদত নামের একব্যক্তির ইন্দোনে নাজমুল বেপারি(২৪)পিতা-মকবুল বেপারী,সহযোগীতা করেন পিতা মকবুল বেপারি(৫৫) ও তার মাতা মোসাঃ নাজমা বেগম(৪৫)।জমাজমির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ২৭মে দুপুরের দিকে সেলিনাকে বাড়িতে একা পেয়ে শরীলের বিভিন্ন জায়গাতে আঘাত করে।সেই সাথে হত্যা করার চেষ্টা করে।সেলিনা সিকদারের মাথার বাম পাশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এবং ওই নারী ঠেকাইতে গেলে বাম পায়ের গিরার নিচে এবং বাম হাতে কুপিয়ে ফোলা জখম করে।সেলিনা সিকদার চিৎকার করলে ঘরের বাহিরে থাকা তার শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম(৬৫)স্বামী মৃত আব্দুল রশিদ সিকদার এগিয়ে গেলে সন্ত্রাস নাজমুল দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনা ঘটার পর আশপাশের লোকজন বাড়িতে আসে এবং আহত সেলিনা সিকদারকে শরিয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মফিজুল ইসলাম(লেলিন),জুনিয়র কন্সালটেন্ট বলেন আহত সেলিনার অবস্থা আশংকা হলেও বর্তমান সুস্থ আছে।তবে আশংকাজনক দেখলে আমরা ঢাকা হসপিটালে প্রেরন করবো।এদিকে ২৮তারিখ সন্ধার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর আশংকাজনক দেখে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলে।আহত সেলিনাকে তার স্বামী আব্দুল সাত্তার সিকদার ও ছেলে ওইদিন সন্ধার পর ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করেন।এদিকে আহত সেলিনার বিষয় নিয়ে শরিয়তপুর পালং মডেল থানায় অভিযোগ করলে কোন সুস্থ সমাধান পান নাই।উপায়ন্তর না পেয়ে শরিয়তপুর জেলা জর্জকোর্টের এ্যাডভোকেট এর স্মরনাপর্ন হয়।তিনি বলেন রোগী সুস্থ হওয়ার পর আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে।এলাকাসূত্রে জানা যায় ৬৭শতক জমিতে সেলিনা সিকদার বসবাস করে আসছে।জমির দলিল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে দাখিল করে এবং কাগজপত্র দেখে যাচাই বাছাই করে কোর্ট থেকে রায় ঘোষণা করে আহত সেলিনা সিকদারের পক্ষে।তবে কোর্টের আদেশ বা রায় মানতে চায় না প্রতিপক্ষ।জোর করে জবরদস্তির মাধ্যমে অসহায় নারীর জমি দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।প্রতিপক্ষের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না অনেকে।এবিষয়টি নিয়ে কোন প্রশাসনের নজরদারী নেই বললেই চলে।বিভিন্ন সময় সেলিনাকে হত্যা করার জন্য ওতপেতে থাকে তার বাড়ির আশপাশে। ২৭তারিখে হত্যা করার চেষ্টাকালে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও টাকা হাতিয়ে নেয় নাজমুল বেপারী সহ তার লোকজন।এবিষয় নিয়ে আহত সেলিনা সিকদার বলেন আমি একজন নারী আমার বাড়িতে শাশুড়ি থাকে,পুরুষ মানুষ কেউ বাড়িতে থাকে না।তিনি বলেন ২২সালে ও একই ঘটনা ঘটায় কিন্তু আইনের কোন ধরনের সহযোগীতা পাই নাই।আবারও আমাকে হত্যার করার চেষ্টা করেছে তবে চিৎকার না করলে হয়তো আমাকে হত্যা করে চলে যেতো।সেলিনা সিকদার বলেন আমার প্রাননাশের হুমকি চলছে।যে কোন মুহর্তে আমাকে হত্যা করতে পারে।জেলা প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ আমার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাস নাজমুল বেপারীকে দ্রুত আইনের আওয়তাধীন এনে বিচারের দাবি করছি।
Leave a Reply