৮ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গেটম্যানের দাবিতে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত ট্রেন অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। ৮ জুলাই বিকেল অনুমানিক ৪টার দিকে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলসহ ওই যুবক ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনের ইঞ্জিনে বেধে মোটরসাইকেলটি প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়।
এদিকে, তাৎক্ষনিকভাবে রেলগেটে গেটম্যানের দাবিতে স্থানীয়রা দূর্ঘটনাকবলিত লাইনটি অবরোধ করেন। সেই লাইনে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কপোতক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা যাবত ধরে অবরোধ করে রেখেছেন। এতে খুলনাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এটা অস্বাভাবিক মৃত্যু, গেটম্যান থাকলে হয়তো তিনি বেচে যেতেন। দীর্ঘদিন যাবত আমিরপুর গ্রামের একমাত্র রেলগেটটি অরক্ষিত। এখানে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত গেটম্যান দিতে হবে তারপর ট্রেন ছাড়বে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আমিরপুর গ্রামের রেলগেটে আসেন। সেই সময় একটি ট্রেন যাচ্ছিল। ট্রেনটি চলে গেলে মোটরসাইকেলযোগে লাইন পার হতে গেলে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ট্রেনের ইঞ্জিনে নিচে মোটরসাইকেলটি পড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে যায়।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান। আগামীকালের মধ্যেই গেটম্যান দেয়া হবে আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভকারীরা রেলপথ ছাড়েননি। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ওসিকে লিখিতকারে প্রতিশ্রতি দিতে বলেন।
বিক্ষোভকারীদের ওসি বলেন, এখানে অবশ্যই গেটম্যানের প্রয়োজন। আমি তিনদিনের সময় নিচ্ছি, গেটম্যানের জন্য যেখানে যেখানে কথা বলার প্রয়োজন আমি কথা বলব। অপরদিকে, ট্রেনে আটকে পড়া যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। ভ্যাপসা গরমে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখানে রেলগেটে গেটম্যানের দাবিতে কয়েকশ মানুষ ট্রেন অবরোধ করেছেন। তাৎক্ষনিকভাবে গেটম্যানের দাবি করেছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি।
সন্ধা সোয়া ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গেটম্যানের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা অনড় রয়েছেন। তারা বলছে, উর্দ্ধতণ কর্মকর্তারা আমাদের প্রতিশ্রতি দিলে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিব।