কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে ইউএনও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদেে কোনাখালী ও বিএমচর ইউনিয়নের তিনটি অধিক ঝুকিপূর্ণ পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন তান্ডব টেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ হাজার জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। বর্ষার শুরুতে পাউবো কতৃক জরুরি প্রকল্পের আওতায় বালু সিমেন্ট মিশ্রিত জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ দ্রুতসময়ে শুরু হওয়ায় দুই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল মানিক।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে জরুরি প্রকল্পের আওতায় মাতামুহুরী নদীর তীরে শুরু হওয়া জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজের অগ্রগতি গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এসময় চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকায় স্লুইস গেইট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এরিয়া পরিদর্শন করে মাতামুহুরী নদীতে জিও ব্যাগ ধারা ডাম্পিং কাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা শাখা কর্মকর্তা (এসও) উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিরাজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী সোয়াইবুল ইসলাম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ, মাতামুহুরি উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হাসান হান্নান, কোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আুবুল কালাম, সদস্য সচিব মোহাং ইউনুস, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, নুরুল হোসাইন, সালাহউদ্দিন মাহমুদ ও উপজেলা যুবদল নেতা ফজলুল কায়েম সিকদার প্রমুখ।
জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা শাখা কর্মকর্তা (এসও) উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মাতামুহুরী নদীর তীব্র ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা ৬৫ নম্বর পোল্ডারের অধীন কোনাখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় ১১০ মিটার ও বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম পয়েন্টে ৯০ মিটার এরিয়ায় জরুরি প্রকল্পের আওতায় পাউবো কতৃক বালু সিমেন্ট মিশ্রিত জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাবাজার পয়েন্টে ৮ হাজার চারশত ও কন্যারকুম পয়েন্টে ১১ হাজার পাঁচশত জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আশাকরি মাতামুহুরী নদীর তীরে জিওব্যাগ জাম্পিং কাজ সমাপ্ত হলে ওই এলাকার বাসিন্দারা নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে পরিত্রাণ পেয়ে যাবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক কোনাখালী ও বিএমচর ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন তান্ডব টেকাতে শুরু হওয়া জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করা হয়েছে। কাজের গুনগতমান ঠিক রেখে দ্রুতসময়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।