মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মংগলবার না ফেরার দেশে চলে গেছেন গাজীপুরের কাশিমপুরের ক্রিড়াবিদ জাহিদ হাসান।পরিবারসূত্রে জানা যায়, উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথা সহ ডেংগুর নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৬শে জুন ২০২৫ইং তারিখে গাজীপুরে কোনাবাড়িতে অবস্থিত একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জাহিদকে।পরের দিন অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ার জরুরীভিত্তিতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে সেদিনই উত্তরায় অবস্থিত বিশেষায়িত ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরপর চিকিৎসকদের নিবিড় সেবায় পরের দু’দিন অবস্থার উন্নতি হলে পরিবারের সদস্যরা ক্ষানিকটা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেন।জাহিদের সাথে কথাও হয় পরিবারের সদস্যদের।এসময় পরিবারের সদস্যদের কাছে বাড়ি ফেরার আকুতি প্রকাশ করে জাহিদ।কিন্তু হঠাৎ করেই সোমবার দিবাগত রাতে আকস্মিক অবস্থার চরম অবনতি হলে জাহিদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়।পরে মংগলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যৌথভাবে জাহিদকে মৃত ঘোষনা করে।
এদিকে জাহিদের মৃত্যুতে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন,এলাকাবাসী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, জাহিদ হাসান গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন ৩নং ওয়ার্ডের বারেন্ডা মধ্যপাড়া এলাকাত সৈয়দ শাহজাহান ও মরহুমা রাজিয়া খাতুন দম্পতির মেঝো ছেলে। জাহিদ হাসান একই সাথে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন সহ বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী ছিলেন।নিজ জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খেলাধুলা করে কুড়িয়েছেন ব্যাপক সুনাম,সম্মান ও পুরষ্কার ।মৃত্যুর সময় জাহিদ স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
মংগলবার বাদ এশা কাশিমপুরের বারেন্ডা কবরস্থান মসজিদে জানাযা নামাজ শেষে কবরস্থ করা হয় অসময়ে চলে যাওয়া এই ক্রিড়াবিদ ও ক্রিড়ামোদীকে।