রংপুরের তারাগঞ্জ সদরের (পশু হাসপাতাল) দৌলতপুর গ্রামে এক ভাড়া বাড়িত ঘনবসতি এলাকায় রাতের আঁধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসুস্থ ছাগল জবাই করে বিক্রি করায় অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও খাসির পঁচা কলিজা, ফুসফুস, মাথা এবং ভূড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ। পশু সম্পদ ও এলাকাবাসির সূত্রে ২৬ জুন দুপার ১.৩০ সময় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর ঘনিরামপুরের দৌলতপুর এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন লাইসেন্স না নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রত্যয়ন ছাড়া অসুস্থ ছাগল জবাই করে বিক্রি করে এরকম অভিযোগের ভিত্তিতে মো: জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন রকম লাইসেন্স এবং প্রত্যয়ন ছাড়া প্রতিদিন গভীর রাতে অসংখ্য অসুস্থ ছাগল, ভেড়া জবাই করে জেলার বিভিন্ন নামি-দামি হোটেলে সরবরাহ করে আসছে। উক্ত ব্যক্তিকে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কয়েকবার নিষেধ করা হলেও জাহেদুল ইসলাম গোপনে এই ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যান। অভিযানে প্রায় ৩০ কেজি খাসির পঁচা কলিজা, ফুসফুস, মাথা এবং ২৫ কেজি পঁচা ভুড়ি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। উক্ত ব্যক্তিকে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর আওতায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রুবেল রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইফতেখায়রুল ইসলাম। অভিযানে সহযোগিতা করে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ অনুযায়ী অভিযুক্তকে জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে বলে জানান ইউএনও।