আগামী ফেব্রæয়ারিতে সম্ভব্য জাতীয়সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপক‚লীয় জেলা বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন। তবে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এ মুহুর্তে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় মাঠে নেই। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ইতিমধ্যে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা শুরু
করেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে কর্মী সমাবেশ, সভা-মিছিল এবং মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে জন সমর্থন সংগ্রহেরচেষ্টা করছেন।
বিএনপি একাধিক কর্মী জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দলীয় এজেন্ডা তুলে ধরছেন। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে
প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে বিএনপির নেতকর্মী
ও সমর্থকরা বলছেন, ” এ মুহুর্তে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন উভায় দলের মূল লক্ষ।”
বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপি সম্ভব্য প্রার্থীদেরমধ্যে রয়েছেন। বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী) আসনে বিএনপির সম্ভব্য
প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডঃ শেখ ওহিদুজ্জামান দিপু ও জেলা বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা। বাগেরহাট-২ (বাগেরহাটসদর ও কচুয়া) আসনে বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক এমপি এম এ এইচ সেলিম, তার ছোট ভাই জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটি এম আকরাম হোসেন তালিম ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ সুজন মোল্লা। বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনে বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয়
বিএনপির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. এবি এম
ওবায়দুল ইসলাম, তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় নেতা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও জেলা বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন। এদিকে, নির্বাচনকমিশন থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা হলেও রাজনৈতিক
দলগুলোর তৎপরতা ইতিমধ্যে নির্বাচনী আবহ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে।