প্রায় ১০ -১২ বছর আগে ০৪ ভাই মিলে ০৬ শতক জমি কিনেছি। তার মধ্যে ০৪ শতক ০৮ পয়েন্ট দখল পেয়েছি। জমির সকল কাগজপত্র আপডেট থাকা সত্ত্বেও আমাদের জমি ভোগ দখল করতে পারেনি বিগত সরকারের আমল থেকে। এখনোও তারা কৌশলে আমাদের জমি জোরপুর্বক ভোগ দখলে রেখেছে বিশেষ সন্ত্রাসী কায়দায়। বিগত দিনের ন্যায় এখনো তারা প্রকাশ্যে কিভাবে তাদের ভুমি দস্যুতার সাথে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তার রহস্য আমরা বুঝতেছিনা। কেননা গত ১৪ জুন ২০১৫ তারিখ আনুমানিক ১২ টা মিনিটের দিকে স্থানীয় ভুমিদস্যু আসাদুল সরদার সহ তার ভাগ্নী তৈয়মুর রহমান সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন আমাদের ঘর ভেঙে দেয়। প্রকাশ্যে প্রতিবারের মতো আবারো তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালালে জীবন বাচাতে আমরা তাৎক্ষনিক ৯৯৯ এ কল দেই। কিছুক্ষনের মধ্যে কয়রা থানা থেকে ২/৩ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আমরা প্রানে রক্ষা পেলেও ততক্ষনে আমাদের মেরামতকৃত ঘরটি মাটির সাথে মিশে ফেলে তারা। পুলিশ উপস্থিত জনতার সামনে মোবাইলে ভিডিও দেখে সন্ত্রাসীদের কাছে প্রকাশ্যে এমন ভুমিদস্যুতার কারন জানতে চাইলে তারা সদুত্তরে কোন বক্তব্য দিতে পারেননি। পরক্ষনে তারা স্থানীয় গণমান্যদের নিয়ে দ্রুত সমাধান করবে এমন আশ্বাস দিলেও এখনোও সমাধান করেননি কাদতে কাঁদতে বলেন, কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড উলার মোড় এলাকার মৃত নুরালী গাজীর ছেলে মো: আলমগীর গাজী (৩৬) মনু। তিনি আরো বলেন, সবাই জানে কয়রায় এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীর সহায়তায় এরা বিগত দিনের মতো এখনো তাদের সকল কার্যক্রম কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নামে থানায় অভিযোগ ও জিডির শেষ নেই তবুও তারা এখনোও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। সর্বশেষ এদের মতো চিহ্নিত ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তদন্ত পুর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসীর।