অদ্য ১৪ জুন ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি) এর অধীনস্থ চাপসার বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৪৭/১-এস বরাবর ভারতের অভ্যন্তর হতে ২৩ জন (০৫ জন পুরুষ, ১২ জন মহিলা এবং ০৬ জন শিশু) নাগরিককে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ ইন করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তব্যরত বিজিবি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে পুশ ইনকৃত ২৩ জন নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয় বলে জানাযায়। আটককৃতদের আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র যাচাই বাছাই শেষে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের নাম ও ঠিকানা
ক। মোছাঃ রহিমা খাতুন (২৩), পিতা-শফিকুল ইসলাম, গ্রাম-সুলতানপুর, পোস্ট- চন্দনপুর, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা।
খ। নীলঅঞ্জন মান্না (১০ মাস), পিতা-সেন্টু কুমার, গ্রাম-সুলতানপুর, পোস্ট- চন্দনপুর, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা।
গ। মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা (৪৪), পিতা-মৃতঃ হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা।
ঘ। মোছাঃ জলি বেগম (৩৮), স্বামী-মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা।
ঙ। আরিফা মোল্লা (১৫), পিতা-মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা।
চ। মোঃ সাব্বির মোল্লা (১৪), পিতা-মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা।
ছ। মোঃ ছাবির মোল্লা (০৮),পিতা-মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা।
জ। সাইনাজ মোল্লা (০৭), পিতা-মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা।
ঝ। মোঃ সুমন হোসেন (২৫), পিতা-মোঃ খোরশেদ আলম, গ্রাম-জাফরনগর, পোস্ট-শিমুলিয়া, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর।
ঞ। মোছাঃ সানিয়া বেগম (২১), পিতা-মোঃ দিদারুল হাবিব মোল্লা, গ্রাম-রাধামাধবপুর, পোস্ট-আড়ুয়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা। ট। মোছাঃ রোকাইয়া আক্তার (২২ মাস), পিতা-মোঃ সুমন হোসেন, গ্রাম-জফরনগর, পোস্ট-শিমুলিয়া, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর। ঠ। মিশার শেখ (৪১), পিতা-মঞ্জু শেখ, গ্রাম-কুলসুর, পোস্ট-কালিয়া, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল।
ড। মোছাঃ রিতা বেগম (৩৬), স্বামী-মিশার শেখ, গ্রাম-কুলসুর, পোস্ট-কালিয়া, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল।
ঢ। রোহান শেখ (১৬), পিতা-মিশার শেখ, গ্রাম-কুলসুর, পোস্ট-কালিয়া, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল।
ণ। পারুল মোল্লা (৭০), পিতা-জিয়ার উদ্দিন মোল্লা, গ্রাম-বুড়িন্দীয়া, পোস্ট-কায়েমকলা, থানা-চৌগাছা, জেলা-যশোর।
ত। মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৩০), পিতা-শাহাজাহান মোল্লা, গ্রাম-বোতখান, পোস্ট-বোতখানা, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর।
থ। মোছাঃ জেসমিন বেগম (৪৫), পিতা-মৃত বুজুই সরদার, গ্রাম-হাজিরবাগ, পোস্ট-বকড়া, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর।
দ। মোছাঃ জরিনা বিবি (৩৮), পিতা-মৃত তাহের, গ্রাম-টেংরাখালি, পোস্ট-ভেটখালি, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা।
ধ। মোছাঃ রুপিয়া খাতুন (৫০), পিতা-আনসার আলী, গ্রাম-চিতলা, পোস্ট-পানিকাউরিয়া, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা।
ন। মোছাঃ মনিরা খাতুন (৩৫), পিতা-কাওছার মোড়ল, গ্রাম-হলুদিয়া, পোস্ট-সোনাবাড়ীয়া, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা।
প। মোছাঃ রাশিদা খাতুন (৫০), পিতা-মৃত আমিন উদ্দিন সরদার, গ্রাম-গোবিন্দকাটি, পোস্ট-ঝাউডাঙ্গা, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা।
এবং ২ জন গ্রেফতার কৃত ব্যাক্তিকে সেনাক্ত করতে পারেনি চাপসার বিজিবি।
আটককৃত ব্যক্তিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাগেছে তারা কাজের সন্ধানে ইতিপূর্বে (০৫-৩০ বছর সময়কালে) দালালের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ হতে মুম্বাই গমন করেছিল। আনুমানিক ০৩-০৪ দিন পূর্বে ভারতের পুলিশ কর্তৃক তাদেরকে গ্রেফতার করতঃ গত ১৩ জুন ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে মর্মে জানিয়েছেন আটক কৃত আসামিরা।
নাম ও ঠিকানা সঠিক হওয়া পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলমান।
উল্লেখ্য, বর্ণিত ঘটনার প্রতিবাদে বিজিবি এর পক্ষ হতে অদ্য ১৪ জুন ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ ও ভারত কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি কর্তৃক সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্ত সংক্রান্ত অপরাধ সমূহ হ্রাস করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সীমান্তে মানব পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে তথ্য প্রদান করে সহায়তা প্রদান করার জন্য বিজিবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সকলকে অনুরোধ করেছে।