মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : কেসিসি মেয়র প্রার্থী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মেয়র হতে নয়, মামলা করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। মেয়র হওয়া বড় নয়,আদালতে এই জালিয়াতি প্রমানিত হোক, জালিয়াতির ফল বাতিল হোক, এটাই মুল চাওয়া। আদালত যদি আমাকে মেয়র ঘোষণা করে মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে। আজ ৪ এপ্রিল আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ২০১৮ সালের অনুষ্ঠিত চতুর্থ খুলনা সিটি করপোরেশন ( কেসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল আজ। কিন্তু আজও উল্লেখিত মামলার বিবাদী পক্ষ আদালতে উপস্থিত হননি। মামলার শুনানির পর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত। এসময় আদালত প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ মে কেসিসির চতুর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন। কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বর্জন করেছিলেন মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১১ জুলাই ফলাফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যাুনালে মামলা করেন মঞ্জু। প্রায় ৭ বছর পর ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের সমন জারির মধ্যে দিয়ে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। ইতিমধ্যে কেসিসির চতুর্থ পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের ১২ জুন কেসিসির পঞ্চম নির্বাচনেও বিজয়ী হন তালুকদার আব্দুল খালেক। গত বছর ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে ১৯ আগষ্ট কেসিসির মেয়র এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এদিকে পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মামলায় বিজয়ী হলেও মেয়রের দায়িত্ব পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
Leave a Reply