নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভেদ এর কারনে বিভাজন সৃষ্টি হয়ে একটি দল কয়টি ভাগে বিভক্ত হয়। ফলে এক এক গ্রুপের এক এক কর্মকান্ডে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। বিভাজনের প্রত্যেকটি গ্রুপের উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। একটি রাজনৈতিক দলকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে মানুষের ক্ষতি সাধন করায় বেপরোয় হয়ে ওঠেন এরা.। করেননা কোন আইনের তোয়াক্কা, মানতে চাননা পুলিশ প্রশাসনকে । বলছি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চারটি গ্রুপে বিভক্ত হওয়ার কথা । সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি ঢাকা বিভাগ ও সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি বিএনপি নজরুল ইসলাম আজাদ , আড়াইহাজারের তিনবারে নির্বাচিত এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় মহিলা দল বিএনপির পারভিন আক্তার ও সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির মাহমুদুর রহমান সুমন। এই নেতারা বিএনপির ৪ গ্ৰুপে ভাগ হয়েছে।
এর চার নেতার চার রকমের রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনায়, আড়াইহাজারের অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। এই চার নেতাই ওসিকে দিয়ে সুবিধা ভোগের প্রত্যাশায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। রাজনৈত মতভেদের কারণে থানা পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যাহত হচ্ছে। এতে অসুবিধায় পড়ছে সাধারণ জনগণ। ফলে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বদনাম হচ্ছে থানা পুলিশের, বারবার বদলি হচ্ছে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ। এতে পুলিশি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণ।
তুলে ধরছি আড়াইহাজারের হালচালের চিত্র।
নারায়ণগঞ্জ ২ আড়াইহাজার উপজেলায়
এলাকার বাসীন্দাদের অপরাধজনিত কারনে ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বছর যাবৎ হিংসাত্মক মনোভাবে আইন-শৃঙ্খলার সীমাহীন অবন্নতি হয়েছে এমনই চিত্রই দেখা যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার কেন এই সীমাহীন অবন্নতি এর কারণ খোজতে স্বরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পূর্বকাল থেকেই আড়াইহাজারে শিক্ষার হার অনেক কম এবং এটি একটি অত্যন্ত গরিব এলাকা ছিলো। যেখানে বিগত দিনে স্থাপনা করা হয়নি কোন মিল ফ্যাক্টরি । ফলে কৃষি ফসল করা হলেও প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে অপারক ছিল আড়াইহাজারের অদিবাসি। সঙ্গত কারণে আড়াইহাজারে চুরি ডাকাতি ছিনতাই ও রাহাজানির মত অন্যায় অপরাধ সেকাল থেকেই চলে আসছে । আড়াইহাজার সম্পর্কে কমবেশি সবারেই জানা আছে । হরহামাসায় বিভিন্ন জায়গায় যে চুরি ডাকাতি হতো, আড়াইহাজারে এই অপরাধীদের পাওয়া যেতো । বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গরু চুরির কাজটাই তারা বেশি করতেন বলে জানা যেত। তবে ডাকাতি করার কাজেও কোন অংশে পিছিয়ে থাকতেন না তারা। এমনভাবে দীর্ঘ বছর যাবত অপরাধের মাত্রা সীমাহীনভাবে চলে আসছে এই আড়াইহাজার উপজেলায়। কোনো ভুক্তভোগী অপরাধীর নামে মামলা করলেও পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে গ্রেফতার করতে অনেক কষ্টসাধ্য হত। এর কারণ তারা আইনের তোয়াক্কা বা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অথবা আইন বা অপরাধ এ সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল খুব কম । ফলে যখনই থানা পুলিশ অপরাধীদের ধরার জন্য তাদের আস্তানায় উপস্থিত হতেন, তখনই অপরাধীরা পুলিশের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র অর্থাৎ সেল টেঠা দাঁড়ালো রামদা বগিদা ও বল্লভ নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে বসতেন। এতে করে অনেক পুলিশ আক্রমণের শিকার হয়েছেন মারাত্মকভাবে এবং তাদের আক্রমণে পুলিশ নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে, তার দৃষ্টান্ত স্বরূপ ৫ই আগষ্টে আড়াইহাজার থানাকে পুড়িয়ে তারা নিজেরা কতটা ভয়ংকর তা প্রমাণ করেছেন। অপরাধীদের আলামত দেখতে তথ্য অনুসন্ধানী টিম ২১শে এপ্রিল থানায় উপস্থিত হলে দেখা যায় আড়াইহাজার পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক একজন কনস্টবলকে প্রভাব খাটিয়ে ধমকাচ্ছে। প্রশাসনকে অসহযোগিতা করা, আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন অপরাধে সাথে সংঘটিত হওয়া, তবে এসবের জন্য দায়ী কে সাংসারিক অভাব না পারিবারিক আদর্শ শিক্ষা না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা?
এসবের বিষয় জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন পারিবারিক আদর্শ শিক্ষা যেখানে নেই সেখানে অপকর্মে কোনো বাধা নেই।
তবে কালের পরিবর্তনে আড়াইহাজারের চালচিত্রে অর্থনৈতিক কিছুটা পরিবর্তন হলেও স্বভাবগত পরিবর্তন এখনো হয়নি। ফলে অন্যায় অপরাধ এখনো বিদ্যমান রয়েছে তাদের মধ্যে । যখনই পুলিশ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে দায়িত্ব পালন করেন, তখনই অপরাধীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বদনাম রোটায় এবং পুলিশের উপরে হামলা করে বসেন , এলাকার কিছু সচেতন মহল বলেন , বর্তমান প্রেক্ষাপটে আড়াইহাজারের রাজনীতির রাজনৈতিক নেতাদের কারণে পুলিশ চাপের মুখে থাকেন এবং অপরাধীদের রোষানালে পড়েন। তারা বলেন যে দলই ক্ষমতায় আসে , রাজনৈতিক নেতারা অপরাধীদের কাছে টানেন তাদের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য। এই রাজনৈতিক নেতাদের কারণে পুলিশি কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। এতে করে পুলিশ তাদের দায়িত্ব শতভাগ পালন করতে চাইলে অপরাধী ও রাজনৈতিক দলের রোশনলে ভুক্তভোগীদের কথা শুনতে হয়, যে, পুলিশ দায়িত্বে অবহেলা করে । এদিকে রাজনৈতিক নেতাদের কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যায় । তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় আড়াইহাজারে ইউএনও. এসিল্যান্ড, থানা পুলিশ বেশিদিন থাকেনা, কারণ অপরাধীরা মিথ্যা অপপ্রচার, অনৈতিক স্বার্থ হাসিল না হলে স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার, রাজনৈতিক
ক্রোন্দলে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে, তাদের কথায় ছেড়ে দিতে বাধ্য না হলে পুলিশকে হুমকি অথবা ঘুষ বাণিজ্য করে বলে মিথ্যা অপপ্রচার ও বিভিন্ন রকম হেনস্থের মাধ্যমে উপরমহলে পুলিশের নামে অভিযোগ দেওয়াসহ নানাভাবে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। এলাকাবাসী আরো বলেন, প্রশাসনের লোকজন বারবার বদলি হওয়ায় অপরাধীরা অপরাধ প্রবণতায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন। এলাকার নিরীহ মানুষের ভাষ্যমতে পুলিশ প্রশাসনকে বদলি না করে আড়াইহাজারে যারা রাজনীতি সাথে জড়িত রয়েছেন এবং যারা অপরাধ করে যাচ্ছেন তাদের আগে সংস্কার করতে হবে। আর তা না হলে আড়াইহাজারে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবেনা। এলাকাবাসী বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট জোর দাবি জানিয়ে বলেন আড়াইহাজারে একান্তভাবে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিষয়ে অবগত হয়ে পরবর্তী পরিকল্পনায় আড়াইহাজারে অপরাধীদের আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে.। তা না হলে আড়াইহাজার হবে একটি অপরাধ প্রবণ এলাকা ও স্বর্গরাজ্য।
Leave a Reply