শাহাদাৎ হোসেন সরকারঃ ঢাকার আশুলিয়ার নরসিংহপুরে ইয়াকুব আলীর লাইসেন্সবিহীন “ভাই ভাই ফার্মেসী”তে দেওয়া হচ্ছে অপচিকিৎসা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং অনুমোদন ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার বেশির ভাগ ফার্মেসি ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চালানো হচ্ছে, যেখানে হাতুড়ে চিকিৎসা থেকে শুরু করে ভেজাল ওষুধের অবাধ বাণিজ্য চলছে। ইয়ারপুর ইউনিয়নের লাল পাহাড় এলাকার এই ফার্মেসীতে প্রশিক্ষণবিহীন ইয়াকুব আলী শিশু, গাইনি রোগীসহ নানা জটিল রোগের “চিকিৎসা” দিচ্ছেন। স্থানীয়রা তাকে ডাক্তার ভেবে ওষুধ কিনছেন, অথচ তার কোনো ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ বা ড্রাগ লাইসেন্স নেই।
এছাড়া, ফার্মেসীতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করে বিক্রি করা হচ্ছে, যা ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে ।
বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আশুলিয়া শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম খান বলেন, “অনেক ফার্মেসি আমাদের সমিতির বাইরে থেকে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে।
মুদি দোকানেও ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।” ইয়াকুব আলী দাবি করেন, তিনি একটি ফার্মেসি উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সদস্য, তবে লাইসেন্সের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান । সাভার সিভিল সার্জন জানান, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলো বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হবে।
অন্যদিকে, গ্যাস সিলিন্ডার মজুদের জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক, যা ছাড়া এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও গলাকাটা দামে বিক্রি হচ্ছে।
ওষুধ প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ, কিন্তু এসব ফার্মেসিতে তা উপেক্ষা করা হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও বিস্ফোরক বিধি লঙ্ঘনের এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন নাগরিকরা।
Leave a Reply