স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের কাশিমপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাপট ছিল, কিন্তু ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি বদলে যায়।
এখন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাশিমপুর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় চার কোটি টাকা বলে স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে।
১৫ বছর ধরে কাশিমপুরে আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যাপক সুবিধাভোগের ইতিহাস রয়েছে তার নামে। ইতোপূর্বে আওয়ামী নেতাদের সাথে আতাত করে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, ভূমি বাণিজ্য এবং সরকারি ঠিকাদারিতে প্রভাব খাটিয়েছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ।
গত বছর আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেক নেতা কলকাতায় পালিয়ে গেছেন ।
তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতারা কলকাতার অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকছেন ।
তবে এই শূন্যতায় আব্দুর রাজ্জাক রাজু দ্রুত প্রভাব বিস্তার করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি নেতাদের জন্য সম্পদ ও ক্ষমতার নতুন দরজা খুলে যায়। রাজ্জাক রাজু এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন বলে মনে করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, রাজ্জাক রাজু সম্প্রতি প্রায় চার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তবে এই অর্থের উৎস সম্পর্কে বৈধতার স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
জানা যায় কাশিমপুর এলাকায় ফ্যাক্টরির ঝুটের ব্যবসা, সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ব্যবসা, চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সুবিধা আদায়, ব্যক্তিগত আদালতে বিচারের মাধ্যমে অর্থ আদায়, অবৈধভাবে জমি দখল, হুমকি ও সন্ত্রাসী কার্যকলপ সহ নানামুখি দুর্নীতি অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দেন তিনি।
তবে এত অল্প সময়ে এত বড় অঙ্কের সম্পদ কীভাবে অর্জিত হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে”।
থানা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী বলছেন আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক রাজুর এসকল অভিযোগ ও জুলুম মূলক কার্যকলাপে মান ক্ষুন্ন হচ্ছে জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পদ বৃদ্ধি একটি সংবেদনশীল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে কাশিমপুরের স্থানীয় বাসিন্দা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
তবে আব্দুর রাজ্জাক রাজু সরাসরি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply