ইয়াছির আহমদ কবির, সিলেট প্রতিনিধি: পরিকল্পিত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনে সবার চিন্তা-ভাবনা এক নয়। সমাজসেবা যেন এখন শুধু কিছু মানুষের নেশা ও দায়িত্ববোধে সীমাবদ্ধ। এ সমাজে বিত্তশালী মানুষের সংখ্যা শত শত হলেও, গুটিকয়েকই নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই গুটিকয়েক আলোকবর্তিকার মধ্যে অন্যতম হলেন সেলিম আহমেদ। তাঁর নিজ হাতে গড়া সালেহ আহমেদ সাকিব কল্যাণ ট্রাস্ট ইউকে-র মাধ্যমে তিনি সমাজ উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।
২০২২ সালে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মেধাবৃত্তি কার্যক্রম চালু করেন তিনি। এ বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে এর দ্বিতীয় ধাপ, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। শুধু তাই নয়, অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য বহু পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন, যেগুলোর স্থায়িত্ব ও গুণগত মান বলার মতো।
এছাড়া প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করে এলাকার উন্নয়নে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে অনেক আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনকে যুক্ত করে বাস্তবায়ন করেছেন নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য খাতে অনন্য পরিকল্পনা:
দীর্ঘ স্বাধীনতা পরও খাজাঞ্চি ইউনিয়নে একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন হয়নি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। সেলিম আহমেদ এবার এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ ও জনগণের উপকারে আসবে এমন জায়গা নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে কাজ করছেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ভাবনা:
পূর্ব খাজাঞ্চি থেকে পশ্চিম খাজাঞ্চিতে দ্রুত যাতায়াতের লক্ষ্যে রেল লাইনের পাশ ঘেঁষে ঘাসিগাঁও থেকে প্রীতিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়ক ও একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। বেসরকারিভাবে এ ব্রিজটি নির্মাণে কয়েকজন প্রবাসী দাতার ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে যদি সম্ভব না হয়, তাহলে এই উদ্যোগ বেসরকারিভাবেই বাস্তবায়িত হবে।
নারী ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার:
খাজাঞ্চি ইউনিয়নে এখনো কোনো মহিলা কলেজ বা কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। জাতির উন্নয়নে নারীর শিক্ষা ও কারিগরি জ্ঞানের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেলিম আহমেদ এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য:
সেলিম আহমেদ খাজাঞ্চি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেন। সঠিক সুযোগ ও সময়ে তাঁর সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
উপসংহার:
“দশের লাঠি একের বোঝা” — এই প্রবাদকে সামনে রেখে তিনি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। সম্মিলিত প্রয়াসেই বাস্তবায়ন হতে পারে তাঁর মহৎ স্বপ্নগুলো।
Leave a Reply