কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দোসর চাল ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির এক নেতা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলার ১১ টার সময় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, আপনারা জানেন গত বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার আসামি বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি চাল ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের কুষ্টিয়া শহরের গোশালা রোডের বাড়িতে কে বা কাহারা গুলি বর্ষণ করেন। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে আওয়ামী লীগের ওই দোসর সাংবাদিকদের কাছে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করেন। ঐদিন তিনি সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেন আইলচারা পশুহাটের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অথচ আমি এবং মুন্না কেউ ওই হাটের দরপত্র ক্রয় করি নাই, তিনি বলেন যেখানে আমরা দরপত্রে অংশ নেইনি সেখানে আমাদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় বলে আমি মনে করি। সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লব বলেন, সদর উপজেলার আইলচারা পশুহাটের ইজারা ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় পেয়েছেন আব্দুর রশিদের ভাতিজা জিহাদুজ্জামান, ওই হাটর টেন্ডারে অংশ না নিতে চরমপন্থীরা আমাকে হুমকি দিয়েছিল এজন্য আমি টেন্ডারের অংশ নেইনি। তাহলে এখানে কেন আমার নাম আসছে। তিনি বলেন এলাকায় রশিদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে, এজন্য সে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে একটি ভিন্ন ইস্যুকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেষ্টা করছেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি হওয়ার পর থেকে তার সাথে সখ্যতা করে আইলচারা পশুহাট, নান্দিয়ার বিল, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ সহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল আব্দুর রশিদ, সেই সাথে কুষ্টিয়ার বৃহত্তম চালের মোকাম থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে হানিফ ও তার ভাইয়ের কাছে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের বলেন আপনারা জানেন ২০০৪ সালে বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই রশিদের খাজানগরের হাসকিং মিলে পালিয়ে থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হেলিকপ্টার যোগে দেশের সর্ববৃহৎ অভিযান পরিচালনা করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে প্রশাসনের অভিযানের খবরের আগেই শীর্ষ সন্ত্রাসী বাংলা ভাইকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন রশিদ। পরিশেষে তিনি বলেন রশিদের বাড়ির গুলির ঘটনায় প্রশাসন একজনকে আটক করেছেন, আপনারা পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে খোঁজখবর নিলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Leave a Reply