বরিশাল, বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশাল এর মেহেন্দিগঞ্জা উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন আন্ধার মানিক ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে কোন নিয়মকানুন এর তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা হয়েছে
(আর এন বি)নামক অবৈধ ইট ভাটা।
যাহার মালিকানায় রয়েছে লতা ইউনিয়নের কাদিরাবাদ গ্রামের গিয়াস উদ্দিন (গেসু মিয়া) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চারিদিকে সাজানো গোছানো গাছ গাছালী বেস্ঠিত সুন্দর মনোরম মন জয় করার মতো পরিবেশ। মাঝখানে গড়ে উঠেছে (আর এন বি) ইট’ভাটা। এলাকার সাধারণ মানুষ জানায়, আমরা অন্যান্য এলাকায় অনেক ইটভাটা দেখেছি সেগুলো জনমানবশূন্য খোলা জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এরকম পরিবেশে ইট ভাটা তৈরীর নজীর একমাত্র আমাদের এখানেই দেখা গেলো।
এ ব্রিক ফিল্ডের বিষয়ে বরিশাল পরিবেশ মন্ত্রলার সহকারী পরিচালক কাজী সাইফ উদ্দিনকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন (আর এন বি ) নামক ইটভাটায় কোন কাগজপত্র বা ছাড়পত্র নেই,এটায় সম্পুন্ন অবৈধ আমরা ঢাকা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসলে অচিরেই হিজলা মেহেন্দিগঞ্জের ব্রিক ফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ ব্রিকফিল্ড বন্ধ করা হবে।
#ব্রিকফিল্ডের স্বত্বাধিকারী গেসু মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদু উত্তর দিতে পারেনি তার অভিযোগের বিপরীতে তার সঠিক কোন কাগজপত্র প্রমাণ দেখাতে বা পাঠাতে পারেনি , তিনি উল্টো বলছেন আপনাদের নিউজ বন্ধ করতে হলে আমি আপনাদের জন্য কি করতে পারি?
পুর্ব পাশে খলিলুর রহমান খানের বাড়ির ভিতরে জোর করে ইট তৈরির মাটি রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি হতদরিদ্র গরিব মানুষ বলে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমার ছেলে মোঃ জিয়া উদ্দিন খান প্রতিবাদ করতে গেলে মালিকের ছেলেরা বেধরক মারধর করে। এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয় । তিনি আরো বলেন গেসু মিয়া কয়েক বছর আগে পাতার হাট টু আলিখারহাট টলার যোগে যাত্রী পরিবহন করত। হঠাৎ তিনি অঢেল টাকার মালিক বনে গিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান তার ছোট ছেলে রাকিব আন্ধার মানিক ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন বিশ্বাস এর মেয়ে জামাই,সেই সুবাদে রাকিব এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা করতেন।এখন তিনি তাদের ইটভাটা ব্যবসার আড়ালে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী দ্রুত এই ইটভাটা বন্ধ করা না হলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের আশেপাশের গাছপালা এবং কৃষি জমি।সরে জমিন ঘুরে দেখা যায় ইট ভাটার চারিদিকে একাধিক সুপারী বাগান রয়েছে, বাগান মালিক দের দাবী অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ না হলে বছরে আমাদের কয়েক লক্ষ টাকার সুপারী বাগান ধ্বংস হয়ে যাবে। অচিরেই ইট ভাটা বন্ধের দাবি জানান তারা।
Leave a Reply