নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ডেমরায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ছিনতাই , দখলবাজি , চাঁদাবাজি, খুন জখম ও জীম্মি করে মুক্তিপান দাবি। এছাড়াও মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় এবং অসহায় মানুষের উপরে নির্যাতন নিপীড়ন এর মত জঘন্যতম কাজে মেতে উঠেছেন ইখলাক খান রুদ্র পিতা মৃত মহিউদ্দিন খোকন, সোহেল ওরফে কাইল্লা সোহেল পিতা শ্যামল, সুজাত পিতা অজ্ঞাত, ইমন পিতা শাহীন , আব্দুল্লাহ পিতা অজ্ঞাত, আকাশ পিতা বাবুল, সাজিত পিতা কালাম, হাফেজ পিতা নুরুল আমিন, সাফওয়ান হোসেন রিফাত পিতা মৃত শহিদুল ইসলাম ও বাদশা ঢালি পিতা মৃত দুলাল ঢালি এই সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, আর আওয়ামী দোসররা পালিয়ে যেতে না পেরে বিভিন্নভাবে কৌশল করে মোটা অংকের টাকার বিনিময় বিএনপি’র কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষের হাত ধরে বিএনপির এই দলে ঢোকার চেষ্টা চালায় তাদের ছত্রছায়ায় থেকে কৌশল করে বিভিন্ন রকমের সহ সকল প্রকার অপকর্ম চালিয়ে যায় আর এতে বিপাকে পড়তে হয় বিএনপির নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের । দেশ সংস্কারে যখন প্রধান উপদেষ্টা ভূমিকা রেখে যাচ্ছিলেন, তখনই এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি’র নামধারী চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদূর বিরুদ্ধে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ডেমরা সারুলিয়ার জামান ও সেলিমের পালিত গুন্ডা ইখলাক খান রুদ্র, কাইল্লা সোহেল ও সুজনগংসহ আরো অনেকের নাম। এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান এরা কখনো বিএনপির সাথে, কখনো আওয়ামী লীগের সাথে,। এলাকার সচেতন মহল বলেন, আসলে এরা কারা, এরা মূলত কোন দলের, এরা কি বিএনপির না আওয়ামী লীগের পালিত গুন্ডাবাহিনী? এমনটাই প্রশ্নর সাধারণ জনমনে। জানা যায়, ইখলাক খান রুদ্র ,সুজাত মিয়া ও আকাশসহ বেশ কিছু লোকজন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পথ ধারী নেতা ছিলেন তারা। তবে সরকার পতনের পর তারা ঘোর পাল্টিয়ে বিএনপি’র সাথে আঁতাত করে এসকল অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছেন। আরো জানা যায়, তৎকালীন আওয়ামী লীগের ডেমরা থানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ ও প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং মশিউর রহমান মোল্লা সজলের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। তবে সরকার পতনের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময় নামধারী বিএনপি নেতাদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেমরায় যতসব অপকর্মের মহা উৎসবে মেতে উঠেছেন। ফলে সাধারণ মানুষ এদের যন্ত্রণায় এখন অতিষ্ঠ, ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না কেউ। এমনকি এদের হাত থেকে রেহাই পায়নি পুলিশ সদস্যরা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সারুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আশরাফুজ্জামান এর সাথে। রাজধানীর ডেমরায় বেধড়ক মারধরের শিকার আহত অপহৃত মাছের খামারি রেজাউল হক (৩৬) কে উদ্ধার করতে গিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকালে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয় পুলিশ। ডেমরার সারুলিয়া ওয়াসা রোড এলাকায় ঘটা চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী রুদ্র বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর ওই রাতেই ডেমরা থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ২৪, তারিখ ২৭ /২/ ২০২৫ ইং ধারা ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/ ৩০৭/৩৫৩/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০এ রজু করা হয়। এদিকে গ্রেফতার বাদশা ঢালী ও ছাফওয়ান হোসেন রিফাতকে শুক্রবার বিকালে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
Leave a Reply