বিনোদন প্রতিবেদক
ছোট পর্দার তারকা দম্পতি মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই। ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। এই দম্পতির সংসারে রায়ান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আজ (৭ অক্টোবর) বিবাহিত জীবনের ১৯ বছর পার করেছেন এই দুই তারকা দম্পতি।
মোশাররফ করিম শুধু একজন দুর্দান্ত অভিনেতাই নন, একাধারে একজন কবি, চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার। তবে সব ছাপিয়ে তার অভিনেতা পরিচয়ই সামনে চলে আসে। তার অভিনয় দেখে দর্শক কখনো হেসে গড়াগড়ি খায়, আবার কখনো চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রুকনা। নিত্য-নতুন চরিত্রে অভিনয় করে জয় করছেন মানুষের মন। মোশাররফ করিম যতটা বড় অভিনেতা ততটাই তিনি সাদামাটা।
অন্যদিকে, অভিনেত্রী রোবেনা রেজা জুঁই সাবলীল অভিনয় দিয়ে এরই মধ্যে দর্শকের মাঝে আলাদা একটা অবস্থান করে নিয়েছেন। বর্তমানে তার অভিনয় ও সংসার ঘিরেই সকল ব্যস্ততা। ঘরোয়াভাবেই ১৯তম বিবাহবার্ষিকী পালন করছেন নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই।
জুঁইয়ের কাছে জানতে চাই বিয়ের আগে এবং পরে মোশাররফ করিমের মধ্যে কতটা পার্থক্য চোখে পড়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, সে রকম পরিবর্তন চোখে পড়েনি। মোশাররফ আগে থেকেই আনমনা, মন ভোলা মানুষ। বিয়ের আগে এতটা ব্যস্ত ছিল না। তখন অনেক সময় দিতে পারত। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বের হতে পারতাম। একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখতাম। আমাকে কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতো।
তবে, এখন চাইলেও সেটি সম্ভব হয় না। মাঝে মাঝে এ নিয়ে খুব মন খারাপ হয়। কিন্তু দর্শকের কথা চিন্তা করে পরক্ষণে মন ভালো হয়ে যায়। কারণ, দর্শকের জন্যই আমরা, আমাদের জন্যই দর্শক। তাদের ভালোবাসার গুরুত্ব দিতে হবে। তবে পুরনো সময়গুলো খুব মিস করি।
যোগ করে তিনি বলেন, অভিনেতা মোশাররফ করিমকে সবাই দেখেছেন। তবে, সে যে কত ভালো লিখে সেটি কেউ দেখেনি। লেখক মোশাররফ করিমকে যদি তার পাঠকরা না দেখতে পায়, তাহলে অনেক কিছু মিস করবেন দর্শক।
রোবেনা রোজা জুঁই নাকি জুঁই করিম কোন পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? রোবেনা রেজা জুঁই পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই নামেই সব জায়গায় বড় হয়েছি। তবে এটি অস্বীকার করার নয় যে, আমি তার স্ত্রী। একজন বিবাহিত মেয়ের বড় পরিচয় তার স্বামী। ছোটবেলা থেকে একটা নাম ধারণ করে বড় হয়েছি, সেটিকেও সম্মান করা উচিত। তাই নিজের নামেই পরিচয় পেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
Leave a Reply