মাদারীপুর থেকে নাসির উদ্দিন লিটন:গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ও এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের কার্যক্রম মাদারীপুর জেলায় ৫ টি উপজেলায় ৫৯ টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান আছে।যে সকল ইউনিয়নে ইতিপূর্বে প্রকল্পের কাজ হয়নি সে সকল ইউনিয়ন হলো অ্যাকটিভিশন যার সংখ্যা ১৬ টি আর ইতিপূর্বে যে সকল ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ হয়েছে সে ইউনিয়ন হলো মেইন্টেনান্স। মেইন্টেনান্স ইউনিয়নের সংখ্যা হলো ৪৩ টি এবং অ্যাকটিভিশন ইউনিয়নের সংখ্যা হলো ১৬ টি।মাদারীপুর জেলায় বিগত ডিসেম্বর /২৪ মাসে অপেক্ষামান মামলার ছিলো ২২ টি এবং জানুয়ারী /২৪ থেকে অক্টোবর /২৪ মাস পযন্ত মোট ৯০৬ টি মামলা দায়ের হয়েছে তার মধ্যে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ৫৯৯ টি এবং দেওয়ানী মামলার সংখ্যা ৩০৭ টি।বিগত মাসের অপেক্ষামান মামলা সহ মোট ৯২৮ টি মামলার মধ্যে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে দায়ের হয়েছে ৯০৭ টি মামলা এবং উচ্চ আদালত থেকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরন করেছেন ২১ টি মামলা।মোট ৯২৮ টি মামলার মধ্যে নারী আবেদনকারী ছিলো ৩২৭ জন (৩৫%) এবং পুরুষা আবেদনকারীর সংখ্যা ছিলো ৬০১ জন (৬৫%)।তার মধ্যে ৯১২ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৯০৩ টি মামলার রায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত এই রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ৯৭,৯৩,৭০০/- সাতানব্বই লক্ষ বিরানব্বই হাজার সাতশত টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করা হয়েছে।গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুফল পাওয়া শিবচর উপজেলার পাচ্চর ইউনিয়নের একজন ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী চানমিয়া বেপারী বলেন যে ব্যবসার সুবাদে ফরহাদ মুন্সীর কাছে বাকিতে কাঠ বিক্রি করি। প্রতিবাদী ফরহাদ মুন্সি আবেদন কারীর পাওনা সঠিক সময়ে ফেরত না দেওয়ায় আবেদনকারী চান মিয়া বেপারী পাচ্চর ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে ২০/- টাকা ফি জমা দিয়ে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং০২/২৪ পরবর্তীতে গ্রাম আদালত গঠন করে গ্রাম আদালতের শুনানির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় যে ফরহাদ মুন্সী আবেদনকারী চানমিয়া মুন্সীকে ১৫০০০/- হাজার টাকা তার পাওনা বাবদ প্রদান করে।আবেদনকারী তার পাওনা বাবদ ১৫০০/- টাকা পেয়ে বড়ই খুশি।তিনি বলেন থানা কোটে মামলা করলে আমার অনেক টাকা খরচ হতো কিন্তুু গ্রাম আদালতে আমার মাত্র ২০/- টাকা খরচ হয়েছে। অপরদিকে প্রতিবাদী বলেন আবেদনকারীর পাওনা বাবদ ১৫০০০/- টাকা আমার অনেক আগেই দেওয়া উচিৎ ছিল। তিনি বলেন আবেদনকারী থানা বা কোটে মামলা করলে আমার অনেক টাকা খরচ হতো উকিল মহুরীকে আমার টাকা দেওয়া লাগতো। আমি গ্রাম আদালতে বিচার পেয়ে অনেক খুশী। আমি সবাইকে বলবো এখন থেকে আমরা থানা কোটে মামলা করতে যাবনা কারন গ্রাম আদালত সর্বোচ্চ ৩০০০০০/- তিনলক্ষ টাকা পযন্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। এ সম্পর্কে ডাসার ও কালকিনি উপজেলার গ্রাম আদালতের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নাসির উদ্দিন লিটন বলেন সাধারণ মানুষের আইনী সেবা প্রদানের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য আদালত হলো ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত।এই আদালতে সাধারণ মানুষ অতি সহজেই ন্যায় বিচার পায় এবং কোন হয়রানির স্বীকার হয়না।
তাই আমরা সবাইকে বলবো অল্প সময়ে,কম খরচে, সঠিক বিচার পেতে চলো যাই আমরা গ্রাম আদালতে।
Leave a Reply