হায়দার হাওলাদার, বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মাদ্রাসা সুপারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর ২৪) প্রতারণা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক অভিযুক্ত সুপার মাহবুবুল আলম নাসিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
মাহবুবুল আলম নাসির উপজেলার কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসা সুপার। শাহজালাল হাওলাদার নামের এক চাকরি প্রত্যাশীর বাবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে তারা তালতলী থানায় মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, তালতলী ছালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দপ্তরি মো. ছগির ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে ছেলের চাকরির কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বলে করইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারীর একটি পদ খালি আছে। মাদ্রাসা সুপার মাহবুবুল আলম নাসিরের মাধ্যমে এই চাকরি হবে। এরপর মাদ্রাসা সুপার ও ছগির ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে মোট ১২ লাখ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগী ৯ লাখ টাকায় রাজি হলে এক মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চেক ও স্টাম্পের মাধ্যমে মোট ৯ লাখ টাকা নেন মাদ্রাসা সুপার। কিন্তু চাকরি না দিয়ে নানাভাবে ঘুরাতে থাকে। এরই মধ্যে ৪ লাখ টাকা চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা আজ কাল বলে ঘুরাতে থাকে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১ বছর আগে ছেলের চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে মাদ্রাসা সুপার মাহবুব আলমের হাতে ৯ লাখ টাকা তুলে দেন শাহজালাল হাওলাদার। বারবার আশ্বাস দিয়েও চাকরি দিতে না পারায় ৪ লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা না পেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন শাহজালাল হাওলাদার। বিষয়টি তদন্ত করে তারা আইনগত ব্যবস্থার জন্য ওসি তালতলী থানাকে মামলা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
Leave a Reply