ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী( বিএসএফ) বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরের মতো ভারতে বসবাসকারী ভারতীয় বাঙালি এবং ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের পর পূর্ব বাংলা থেকে যারা ভারতে চলে গিয়েছিলেন তাদের কে ধরে এনে বাংলাদেশে পুশইন করাচ্ছে। গতবছর বাংলাদেশের অবৈধ স্বৈরাচার হাসিনা সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ বছরের সম্পর্কের সর্বচ অবনতি ঘটেছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তায় সরাসরি হুমকি।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘ সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো সম্পর্ক। মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনধীন স্বর্গ রাজ্য বৃহত্তর বাংলা প্রদেশ ছিলো দিল্লির সকল ক্ষমতার উৎস।বাংলা ছিলো যার দখলে দিল্লির ক্ষমতা ছিলো তার অধিনে কারণ দিল্লির রাজধানী ছিলো বাংলা।
১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের উচ্চ বর্ণের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন চালিয়ে বাংলা দু’ভাগে বিভক্ত করার পর থেকে ভারতীয় বাঙালিদের বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে দেশটিতে বাঙালি দমন পীড়ন করতে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদির বিজেপি সরকার। সেই আইনে চালানো হচ্ছে মদন পীড়ন ও জোর পূর্বক বাংলাদেশে বাঙালি পুশইন।
গতবছর ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার সরকারের সাথে সাথে ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে আসছে বাংলাদেশ। বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম ভারত মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মরিয়া। ঢাকার রাজপথে এখন গর্জন উঠেছে ভারতের দাদাগিরি চলবে না। বাংলাদেশ হবে ভারতের দাসত্ব মুক্ত নতুন বাংলাদেশ। আর এই কারণে বর্তমানে নয়াদিল্লির কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলতে মরিয়া দিল্লির গুপ্তচরেরা।
বর্তমানে বাংলাদেশীদের সঙ্গে ভারতের স্থানীয় নাগরিকদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ধরে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে বাংলাদেশে পুশইন করাচ্ছে নয়াদিল্লি। বর্তমাসে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে যা সরাসরি এখন জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি। তার উপর ভারতের বাঙালি পুশইন আগ্রাসন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর থেকে মুক্তির উপায় জাতীয় ঐক্য এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী।