আলফাডাঙ্গায় প্রতিনিয়ত কেনাবেচা হচ্ছে অনেক জমি ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করতে পারছেন না নেতারা ক্রেতারা। তার প্রধান কারণ হচ্ছে ভূমি রেস্টি অফিসেরকিছু দুর্নীতি অতিরিক্ত ঘুষের টাকা না দিলে হবে না জমির দলিলবাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ দিতে রাজি হচ্ছে জমির ক্রেতা বিক্রেতাএমন এক ভুক্তভোগী মো: আব্দুর রহমান মাস্টার তার পেনশনের টাকায় আজা পাড়া গায়ের পরান পাড়া মৌজায় জমি কিনতে যান আলফাডাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে। দলিল লেখক খলিলের মাধ্যমে দলিল লেখান তিনি পরবর্তীতে ঘটে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। খলিল সাহেব৫১০০০০ টাকার সালামির জমিতে নগদ ৭৩০০০ টাকা দলিল খরচ বাবদ রহমান মাস্টার এর কাছ থেকে আদায় করেন। ভুক্তভোগ অর্থাৎ মোহাম্মদ রহমান মাস্টার পরবর্তীতে ওই দলিলের মূল খরচ জানতে চাইলে দলিল লেখক খলিল বলেন এখান থেকে কিছু টাকা সরকারি ফি কিছু টাকা সাব রেজিস্টার সুজন সাহেব নিয়ে থাকেন এবং বাকি যে টাকা থাকে সেই টাকা আমাদের সমিতির সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হয়ে থাকে।
তাৎক্ষণিক ভাবে মোহাম্মদ রহমান মাস্টার তার পরিবারের এক সদস্যকে দিয়ে উক্ত খবর এর ব্যাখ্যা সাব রেজিস্টার সুজন সাহেব এর কাছ থেকে জানতে চাইলে সে বলেন এখান থেকে সে কোনো টাকা পায় না। সে আরো বলে আপনি দলিল লেখক পরিবর্তন করুন। দলিল লেখক আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছেন।কিন্তু পরবর্তী সময় মোঃ রহমান মাস্টার দলিল লেখক পরিবর্তন করতে গেলে কোন দলিল লেখক সেই দলিলটি পুনরায় লিখতে চান না।এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে ৭৩০০০ টাকা দিয়ে সেই দলিল লেখক খলিল এর মাধ্যমে কাজটি সম্পূর্ণ করে। পুনরায় আবারও সে এ বিষয়টি আলফাডাঙ্গার সাব রেজিস্টার জনাব সুজন সাহেব কে জানালে সে বলেন একটি লিখিত আবেদন করতেএবং তার অফিস পিকচার বিল্লাল হোসেন এর কাছ থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে। অফিসের এর পিসকার বিল্লাল হোসেন এর কাছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোক এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে চাইলে পিসকার বলেন “আমি ভালোমতো বুঝি না আমার অফিসে কোন হিসাব ছাড়া কোন কাজ হয় না খলিল কে ডাকেন আপনিতো দলিল করার সময় আমাকে কিছু বলেন নাই “অতঃপর ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য নিরুপায় হয়ে আবেদনটি জমা দিয়ে চলে আসেন নিজ গন্তব্যে। ঘটনার চারদিন পার হয়ে যায় সাব রেজিস্টার জনাব সুজন সাহেব এ ঘটনার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। সাংবাদিক মহল ওই দলিলের সরকারি খরচ সাব রেজিস্টার জনাব সুজন সাহেবের কাছ থেকে জানতে চাইলে সে সময় সাব রেজিস্টার জনাব সুজন সাহেব বিভিন্ন সময়ের অজুহাতে কৌশলে সেটিকে এড়িয়ে যান।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে আলফাডাঙ্গা সাব রেজিস্টি অফিসে সমিতির মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে এই কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন দুর্নীতি। দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ কেউ সর্বোচ্চ হারিয়ে সর্বহারা হয়ে যাচ্ছেন।