হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সংঘর্ষে একজন নি/হ/ত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ। সংঘর্ষের সময় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অন্তত ১০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নি/হ/ত ব্যক্তির নাম ফারুক মিয়া (৩৮)। তিনি পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে ও পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে তিমিরপুর গ্রামের খরচু মিয়া তালুকদারের সঙ্গে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আশাহিদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর শুক্রবার রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর জেরে সোমবার দুপুরে তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের সঙ্গে আনমনু, রাজাবাদ, রাজনগর, কানাইপুর, নোয়াপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
আহতদের মধ্যে ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। ১০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এই নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত জনসমাবেশ, মিছিল, জমায়েত, অস্ত্র বহন ও যেকোনও সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৪৪ ধারা কার্যকরের পরও কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরে সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ও পুলিশ টহল জোরদার করেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।