ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মব সৃষ্টি করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও তাদের উগ্রবাদী অনুসারীরা স্বাধীন বাংলার বাঙালি জাতিকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন চালিয়ে শাসন করেছে, এবং মব সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে দিয়ে বৃহত্তর বাংলাকে দুভাগ করেছে।
এই “মব” শব্দের অর্থ হলো জনতা, ভিড় অথবা দলবদ্ধ নাগরিকদের বোঝায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের কিছু ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শাসকগোষ্ঠীরা “মব” শব্দটিকে বিশৃঙ্খলা বা উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়েছেন। এর ফলে দেশটির অনিয়ম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনা। তবে বর্তমানে অনিয়মকারী দুর্নীতিবাজ নেতা, অফিসার ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ও ছাত্র জনতা।
গতবছর ৫ই আগস্টের পর থেকে নতুন করে আলোচনায় ‘মব’। দীর্ঘ বছর একদলীয় শাসনের সময় জামাত-বিএনপি ট্যাগ দিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে প্রভাব বিস্তার করেছে যা নিয়ে বাংলাদেশের কেউ মুখ খোলেনি।
তবে বর্তমানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে জনতা রুখে দাড়ালে সেটাকে ‘মব’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে বিদেশি গোষ্ঠী আর সেই শিখিয়ে দেওয়া কথা বা পরামর্শ বাংলাদেশের কিছু রাজনীতিবিদ নিজের দলকে দুর্বল করে তুলছেন।
ব্রিটিশ সন্ত্রাসবাদী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন স্বাধীন বাংলা দখল করার পর থেকে ‘মব’ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছিলো। তার পর থেকে বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলার জন্ম হয়। ১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী,চাঁদাবাদ,ডাকাত ও অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ‘মব’ সৃষ্টি শুরু করেছেন। তবে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার প্রতিবাদকে ‘মব’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতা লোভী গোষ্ঠী ও পার্শবত্তী দেশ ইন্ডিয়া।
বর্তমানে ছাত্র জনতা ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। তার পর থেকে আবারও অপরাজনীতির কারণে পুরো বাংলাদেশটা হুমকির মুখে পড়েছে।
দেশী বিদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার নাম যদি ‘মব’ বিস্তার হয়। তাহলে দেশে উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী,দুর্নীতি, অনিয়ম বেড়ে যাবে। আর যদি এটা হয় তাহলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে।