রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের বরাতী সরকার পাড়ার বাসিন্দা বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম আফজাল হোসেন ও বর্তমান ইকরচালী ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফিরোজা বেগম মুক্তার ছেলে মাহে আলম সরকার জুয়েলের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী বৃদ্ধাকে মারপিট করারা ঘটনায় রংপুর আদালতে মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী। এঘটনায় আকমাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ৩০মে বিকালে আওয়ামী লীগের সৈরাচারী দালাল ভূমি জবরদখল ঘটনার সংক্রান্তে একাধিক মামলার আসামী নারী লোভী মাহে আলম সরকার জুয়েল তার দলবল নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকে মারপিট করে আমার মাতায় গুরুতর জখম করছে। এবং আমার দোকানের মালামাল লুটপাট করে দোকান ঘরের ডয়ারে থাকা এক লাখ বিশ হাজার টাকা ও একটি দামি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। আমি তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি আসছি। এঘটনায় আমার বড় মেয়ে দুলালী বেগম বাদি হয়ে রংপুর আদালতে ১০জুন মামলা দায়ের করছে। যার মামলা নম্বর- ১১৬/২৫। অভিযুক্ত জুয়েল বলেন, মারছি তা কি হয়েছে। মামলার বাদি দুলালী বেগম ও এলাকাবাসী জানান, মাহে আলম সরকার জুয়েলের বিরুদ্ধে রংপুরের বিভিন্ন আদালতে ৭টি মামল চলমনা রয়েছে। যার মামলা নম্বর গুলো হচ্ছে, ১। জি, আর- ৩২/২০২২(বিচারাধীন), ২। জি, আর- ৬৪/২০২২(বিচারাধীন), ৩। সি, আর- ১৬/২০২৫( তারাগঞ্জ আমলী আদালত), ৪। সি, আর- ১৬/২০২৫ ( নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত), ৫। এম, আর- ১৫৩/২৪(অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) ৬। এম. আর-২৪২/২৫ (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রংপুর)। একটি প্রভাবশলী কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান থাকার পরেও কোন সুরহা না পেয়ে ওই প্রভাবশালী সৈরাচারী কুচক্রী মহলটির বিরুদ্ধে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক যৌথ বাহিনীর কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকার সুধিজন। উল্লেখ্য গত ২৭মে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ওই প্রভাবশালী কুচক্রী মহলটির একাধিক ন্যাক্কার জনক ঘটনার সংক্রান্তে সমালোচনা হয়েছে। বর্তমানে ওই প্রভাবশালী মাহে আলম সরকার জুয়েল তারাগঞ্জ থানা পুলিশের হাজত খানায় আটক রয়েছে। কোন মামলায় গ্রেফতার হয়েছে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত আগামী পর্বে প্রকাশিত হবে।