দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র এক রাতেই ৯টি চালকলের বিদ্যুৎ মিটার চুরি করেছে। তবে শুধু চুরি করেই ক্ষান্ত হয়নি—চোরেরা প্রতিটি মিটার খুঁটির নিচে রেখে গেছে চিরকুট, যাতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা: ‘বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠান, মিটার ফেরত পাবেন।’
২ জুলাই গভীর রাতে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রাম এবং উপজেলা সদরের হাসপাতাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মেসার্স তামিজ হাসকিং মিলের মালিক মো. মনিরুজ্জামান জানান, “রাত দেড়টা পর্যন্ত মিল চালু ছিল। এরপর বৃষ্টির কারণে বাড়ি ফিরে যাই। রাত তিনটার দিকে বিদ্যুৎ না পেয়ে বাইরে এসে দেখি মিটার উধাও। পরে আশপাশের আরও আটটি চালকল মালিকের কাছ থেকেও একই ঘটনার খবর পাই।”
তিনি আরও বলেন, “চোরেরা খুঁটির নিচে রেখে গেছে চিরকুট। তাতে বিকাশ নম্বর লেখা ছিল। নম্বরে যোগাযোগ করলে বলে, টাকা পাঠান, মিটার ফেরত পাবেন। তারা মিটারের জন্য ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা দাবি করছে।”
বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীরা নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মতিন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত কয়েক মাসে একই কায়দায় বেশ কয়েকবার মিটার চুরি হয়েছে। প্রতিবারই চোরেরা চিরকুটে নিজেদের মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নাম্বার রেখে গেছে। তবু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় তারা পুলিশি কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, “চোররা যদি এতটা নির্ভয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে যেতে পারে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে—তাদের ভয়ের কিছু নেই। হয়তো তারা জানে, কেউ তাদের ধরবে না!”