দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে নতুন অর্থ বছরের সূচনালগ্নে এক নতুন দিগন্ত উন্মচন হলো। প্রথমবারের মতো এই বন্দর দিয়ে ভারতে জুস রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশের দুটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, আকিজ গ্রুপ ও হাসেম ফুড। এই রপ্তানি কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিল।
২রা জুলাই ২০২৫ বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রায় ১০ টন জুস বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। ভারতের দিপালী এন্টারপ্রাইজ ও সুকন ড্রিংকস নামের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জুস আমদানি করছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ ফেরদৌস জানান, গত মঙ্গলবার প্রথম চালানে ১০ টন জুস রপ্তানি হয়। এরপর বুধবার আরও দুটি প্রতিষ্ঠান জুস রপ্তানি করে। গত দুই দিনে মোট দুটি ট্রাকে প্রায় ২০ টন, অর্থাৎ ২০০০ কার্টন জুস ভারতে পাঠানো হয়েছে, যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৮ হাজার ডলার। এই জুসগুলো ভারতের কলকাতার বাজারে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, অন্যান্য কোম্পানিও তাদের সাথে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির বিষয়ে যোগাযোগ করছে, যা অদূর ভবিষ্যতে হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে আরও পণ্য রপ্তানির ইঙ্গিত বহন করে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন এই ঘটনাকে দেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অর্থ বছরের শেষ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি। তবে নতুন অর্থ বছরের প্রথম দিন থেকেই বেশ কয়েকটি কোম্পানির জুস রপ্তানি শুরু হওয়ায় তিনি আশাবাদী।
চলতি বছরের ১৭ই মে ভারত সরকার কয়েকটি স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। তবে সৌভাগ্যক্রমে হিলি স্থলবন্দর এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো এই বন্দর ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারছে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে।