1. [email protected] : Ghoshana Desk :
  2. [email protected] : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. [email protected] : Masud Khan : Masud Khan
এসআই সায়েম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইল ও ক্যামেরা আত্মসাতের অভিযোগ - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতে জুস রপ্তানি শুরু বিরুলিয়ায় যুবদলের নেতৃত্বে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, তৃণমূলে মোঃ লতিফুর রহমান খানের জোরালো সমর্থন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেটিভ আইডিয়া সাবমিশন বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেফতার দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগে ডিবি পুলিশের অভিযান শ্রমিকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে বার্তা প্রবাহ পত্রিকার ২১ বছর পদার্পণে  দিবসটিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন জলঢাকায় মধ্যরাতে ১১৮ টি পাইপ উদ্ধার করেছে পুলিশ  বিআরটিএ-এর সহকারী পরিচালকের সাথে সিএনজি অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, টেক্সীকার মালিক সমিতির সভা দক্ষিণ সুরমা’র গুপ্তরগাঁও হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মরহুম আয়াত উল্লাহ হল রুমের উদ্বোধন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আট বন্দীর মুক্তি

এসআই সায়েম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইল ও ক্যামেরা আত্মসাতের অভিযোগ

reporter মনির হোসেন(মানিকগঞ্জ)
calendar প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার এসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) সায়েম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আসামির ব্যক্তিগত মালামাল জব্দ করে তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ফেরত, নিজের নিরাপত্তা এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার শাস্তি দাবিতে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার গালা ইউনিয়নের বাসিন্দা কাদের দেওয়ান।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ জুন কাদের দেওয়ানের আত্মীয় মোহাম্মদ শাফিজুল ইসলাম ৯৯৯-এ কল করেন পারিবারিক একটি ভুল বোঝাবুঝির জেরে। ওই কলের প্রেক্ষিতে এসআই সায়েম চৌধুরী ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তখন বাড়িতে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। কাদের দেওয়ানের দাবি, এসময় এসআই সায়েম কোনো অনুমতি ছাড়াই তার বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন, ছোট ছেলের মোবাইল ফোন এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে যান।পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে ১৫ জুন বিষয়টি মীমাংসা হয়। তবে কাদের দেওয়ান মালামাল ফেরত চাইলে এসআই সায়েম তা না দিয়ে বরং খারাপ আচরণ করেন। এমনকি গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিক বিশ্বাস ফোনে অনুরোধ করলেও এসআই মালামাল ফেরত দেননি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শফিক বিশ্বাস বলেন, “ঘটনার বিষয়ে জানার পর আমি এসআই সায়েম চৌধুরীকে ফোনে অনুরোধ করি মালামাল ফেরতের জন্য। কিন্তু তিনি আমার অনুরোধও উপেক্ষা করেন। যেহেতু কোনো মামলা হয়নি, তাই তার এই কাজ গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।”অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই সায়েম চৌধুরী বলেন, “৯৯৯-এ কলের পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু মালামাল জব্দ করে থানায় এনেছি। মামলা হওয়ার কথা ছিল, তাই রেখে দিয়েছি। কিন্তু বাদী থানায় আসেনি।” তবে ১৮ দিন কোনো অভিযোগ ছাড়াই ব্যক্তিগত মালামাল রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তো জব্দমূলে রেখেছি।”
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, “এসআই সায়েম মালামাল জব্দ করেছে—এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমি তার সঙ্গে কথা বলবো। কোনো মামলা বা অভিযোগ না থাকলে পুলিশের ব্যক্তিগত সম্পদ জব্দ করে রাখার অধিকার নেই।”
সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফাহিম আসজাদ বলেন, “আমার দপ্তরে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, “আমি বর্তমানে অভিযানে আছি। অফিসে ফিরে অভিযোগপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের মতে, কোনো ফৌজদারি মামলা ছাড়াই পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। এ ঘটনায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

Please Share This Post in Your Social Media

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com