বগুড়ার সারিয়াকান্দি দক্ষিণ জোরগাছা মৌজায় জোরগাছা নতুন পাড়া মৃত সিদ্দিক মুন্সির ছেলে আব্দুল হান্নান তার বাড়ি নির্মিত কবলাকৃত সম্পত্তির কিছু অংশ জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ ঐ এলাকার মৃত শরাফাত মুন্সির ছেলে আব্দুল মোত্তালেব হোসেনের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আব্দুল হান্নানের গোয়ালঘর ঘেঁষে মাটি খনন করে গর্ত করা হয়েছে। এবিষয়ে আব্দুল হান্নান বলেন, জোরগাছা মৌজায় আর এস ২০৫১ খতিয়ানে ৬১১ দাগে ১৬ শতাংশ জমি কবলা করি এবং আর এস ১১৪৫ খতিয়ানে ৫৯৬ দাগে ৫ শতাংশ ও ২৭৬৯ খতিয়ানে ৫৯৬ দাগে ৫ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার কবলাকৃত পৈত্রিক সম্পত্তিতে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। গরু রাখার জন্য একটি গোয়াল ঘরও নির্মাণ করি। বিবাদী মোত্তালেব আমার গোয়াল ঘর ঘেঁষে গর্ত খনন করে জমি দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। যেকোনো সময় গোয়াল ঘর ধসে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামের মুরুব্বিদের নিয়ে একাধিক বার শালিসি বৈঠক হয়েছে। এ বিষয় নিষ্পত্তির জন্য ১০ জুন মঙ্গলবার আমিন নিয়ে এসে জমির মাপজোক করা হলে উভয় পক্ষকে জমির অংশ সঠিক ভাবে বুঝে দেওয়ার পরও খননকৃত গর্তের জায়গা আমাদের মধ্যেই পড়ে। তারা তা মানতে চায় না। জোরপূর্বক আমাদের জায়গা দখলে নিবে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মারধর শুরু করে। আমাদের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আব্দুল মতিন আমার বাড়ির ওয়াল ঘেঁষে বেশি উচ্চতায় মাটি কাটার ফলে দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ফলে যে কোনো সময় ঘর ভেঙে পরারও সম্ভাবনা রয়েছে। আইনের মাধ্যমে এসব কিছুর প্রতিকার চাই। নাম না জানাতে অনিচ্ছুক একজন বলেন, মারামারি শুরু হলে কম বেশি দু’পক্ষের লোকজন আহত হয়। বিবাদী মোত্তালেব বলেন, জমির মাপ সঠিক মনে না হওয়ায় আব্দুল হান্নানের কবলাকৃত সম্পত্তির পূর্ব পাশ থেকে মাপ আনতে বলি। তারা সেভাবে জমির মাপ দিবে না। আমার জমির অংশ বুঝে না পাওয়ায় বুঝে দিতে বলি। একপর্যায়ে এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি হলে মারামারির ঘটনা ঘটে।