মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতালি ফেরত এক প্রবাসীর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এঘটনায় রাজৈরে ব্যাপক চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলা ও ঘরবাড়ি পোড়ানোর ঘটনাও ইতিমধ্যে হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত দুইজন আসামী গ্রেপ্তার রয়েছে। এরি জেরে প্রবাসী হালিমের পরিবার ও এলাকাবাসীর ব্যানারে রাজৈর থানার সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা। যদিও রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাসুদ খানের আশ্বাসে বিক্ষোভকারী একপর্যায়ে চলে যায়। ঘটনার পরে প্রবাসী হালিমের ভাই বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং সেই মামলায় সবুজ ও আরিফা নামে দুইজন গ্রেপ্তার রয়েছে।
০১ জুলাই ১২টার রাজৈর থানার মোড় এলাকায় গোপালগঞ্জ ব্রীজ থেকে কয়েকশ লোকজন ব্যানার হাতে নিয়ে রাজৈর থানার সামনে গেলে, থানার মুল গেট আটকে দেয় নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশ সদস্যরা, একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা থানার গেটে ধাক্কা দিয়ে খুলতে চেষ্টা করে, তবে পুলিশ সদস্যদের আশ্বাসে সান্ত হন তারা। পরে রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ খান এসে স্বজন ও এলাকায়বাসির সাথে কথা বলেন ও বাকি অন্য আসামীরদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন।
এই বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইতালি প্রবাসীর মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে হিমু আক্তার, ছেলে হাছিব খান, বোন রাশিদা বেগম, জুলেখা বেগম, পারভীন বেগম, বোন জামাই আলি রাজ, ভাবী রিনা আক্তার, হাজি জাফর শেখ, সজী বেগমসহ প্রমূখ।
গত ২৪ জুন মঙ্গলবার রাজৈর উপজেলার নগরগোয়ালদির মৃত কলম খানের ছেলে ইতালি প্রবাসী হালিম খান তার শশুরবাড়ি দ্বারাদিয়া গেলে। তখন তাকে রাত ৪টার দিকে মৃত অবস্থায় রাজৈর হাসপাতালে হালিম কে রেখে পালান তার স্ত্রীসহ কয়েকজন। হাসপাতালে মরদেহ রেখে সটকে পরেন তারা। প্রবাসী হালিমের পরিবারের অভিযোগ, হালিমকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।