রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ফতুল্লা থানার অন্তর্গত দেলপাড়া এলাকার বহু অপকর্মের হোতা চিহ্নিত মাদক সম্রাট ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আক্তার ওরফে কিলার আক্তারসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সুত্রে জানাগেছে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আক্তার ওরফে কিলার আক্তার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এস আই মিজানের সাথে সখ্যতা তৈরি করে ফতুল্লা থানার অন্তর্গত পাগলা, আলীগঞ্জ, নুর বাগ, রসুলপুর সহ কুতুবপুরের বিভিন্ন এলাকায় অন্যদিকে রাজধানীর জুরাইন, শ্যামপুর, এবং কেরানীগঞ্জের কাজীরগাও, পান গাও, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য, এই মাদকের ব্যাবসা করে বনেগেছে কোটিপতি। কিলার আক্তার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে উপরে উল্লেখিত এলাকায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক অবনতি কোনো রকম তৎপরতা নেই বললেই চলে। কেউ কোন রকম প্রতিবাদ করলে তার বাহিনী দ্বারা হতে লাঞ্ছিত অপমানিত ও হয়রানির শিকার, অথবা মিথ্যা মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামি, নতুবা সাঙ্গপাঙ্গদের হামলার শিকার হয়ে দিতে হয় জীবনটাই, যে কারণে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলেছে উল্লেখিত এলাকার জনসাধারণ। বিগত আওয়ামী লীগের আমলে শ্রমিক নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের শুটার হিসেবে কাজ করতো এই আক্তার। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ফতুল্লা থানার অন্তর্গত পুর্ব দেলপাড়া এলাকার মৃত খালেক সর্দারের ছেলে আক্তার আওয়ামী সরকারের আমলে দখল বাণিজ্য,ও এক চাটিয়ে মাদক ব্যাবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ,ও নারায়ণগঞ্জে বিপুল সম্পত্তির মালিক। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরে আত্মগোপনে চলে যায় সিঙ্গাপুরে। বিদেশে থেকে কথিত বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে আবারো দেশে ফিরে আসে। বর্তমানে বিএনপির বড় নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের কে মাসোয়ারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা। বর্তমানে কিলার আক্তারের নেতৃত্বে উল্লেখিত স্পটগুলোতে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তোতা মিয়ার ছেলে লিখন- ওরফে লেংরা লিখন ও খালেক মিয়ার ছেলে কাইল্লা বাবু, আফজাল, লিটন,সিজান,মিশাল, শাহাদাৎ,মইন, লিপ্ত,নিসাত, সজীব ও জুয়েল গংরা। সুত্রে জানা যায় অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থের কাছে জিম্মি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও । যুবলীগ ক্যাডার হিসেবে ফতুল্লার আলীগঞ্জেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। সন্ত্রাসী কিলার আক্তারের বিরুদ্ধে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় হত্যা, অস্ত্র, মাদক সহ একাধিক মামলা রয়েছে। জুলাই আন্দোলনে জালকুড়ি এলাকায় অয়ন ওসমানের সাথে নিরীহ ছাত্রদের ওপর গুলি বর্ষণ করতে ও দেখা গেছে। সন্ত্রাসী কিলার আক্তারের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ সহ অনতিবিলম্বে কিলার আক্তার সহ তার সহযোগীদের গ্ৰেফতারে যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ফতুল্লাহর সর্বস্তরের জনগণ।