জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানে খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় ১০৩৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা গেলেও। অভিযানের সময় আরও দুই মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যায়।
২৫ জুন রাত আনুমানিক ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে র্যাব-৯, সিপিএসসি, সিলেট অভিযানিক এর একটি দল কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামের পলাতক আসামী মোঃ রমজান মিয়ার বসতবাড়িতে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে এক ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হন, বাকি দুইজন অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়।
আটককৃত ব্যক্তির নাম মোঃ আবু মিয়া (৪৭)। তার পিতা মৃত সাদ আলী, স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাটিদল গ্রামে। বর্তমানে সে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন নতুন জীবনপুর (গাছঘর) এলাকায় বসবাস করছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবু মিয়া তার পালানোর চেষ্টা সম্পর্কে সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেনি। পরে স্থানীয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে ঘরের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় ৪টি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মোট ১০৩৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ফেনসিডিল পলাতক আসামী মোঃ রমজান মিয়ার মালিকানাধীন বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে র্যাব-৯ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশকে মাদকমুক্ত করতে র্যাব সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান আরও জোরদারভাবে পরিচালনা করা হবে।”