1. [email protected] : Ghoshana Desk :
  2. [email protected] : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. [email protected] : Masud Khan : Masud Khan
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন-২০২৬,সিলেটের ৬টি আসনে যারা লড়তে চান - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
টেপিরবাড়ী আলফাডাঙ্গায় পৌরসভার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল বিয়ানীবাজারে জেলা পরিষদের পুকুরপাড় দখলের মহোৎসব সাংবাদিক মামুন রেজার স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল। বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতৃবৃন্দের সিলেট আগমণ উপলক্ষে আলোচনা সভা। গাজীপুর জেলা স্বনামধন্য পুলিশ সুপার মহোদয় ডক্টর চৌধুরী জাবেদ সাদেকের কাছ থেকে পুরস্কার পেলেন টিএসআই রফিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলা ট্রাফিক প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটজাত পন্যের প্রতি সবাইকে আগ্রহ বাড়াতে হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দুঃস্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠিত মিলছে না কাংখিত স্বাস্থ্য সেবা অপচয় হচ্ছে সরকারের অর্থ রথযাত্রা মহোৎসব-২০২৫ উপলক্ষে জেলা পুলিশের নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন-২০২৬,সিলেটের ৬টি আসনে যারা লড়তে চান

reporter মোঃ আব্দুল কাদির রাজু, সিলেট 
calendar প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২৫, ৪:০৭ অপরাহ্ণ

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ভরপুর সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত সিলেট। কোটি প্রবাসীর জন্মভূমি এবং রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাঘার সিলেট আধ্যতিক  রাজধানী হিসেবে পরিচিত।

বৃটিশ আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সিলেটবাসী ও প্রবাসীদের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। রাজনৈতিক সচেতন এই ভূমি থেকে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন অনেক বিশিষ্টজন। রাজনীতির উর্বরভূমি সিলেট।

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে সিলেট জেলায় রয়েছে ৬টি আসন। এরমধ্যে সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনটি মর্যাদাপূর্ণ ভিআইপি আসন হিসেবে বিবেচিত। শাহজালালের পুণ্যভূমির এই আসনে সব সময় ভিআইপি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু করেন বিভিন্ন  রাজনৈতিক দল।

আগামী ২০২৬ সালের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দলের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামিক ও নতুন দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ-প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে।

প্রতিটি আসনে দেশের এবং প্রবাসের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তারা বিভিন্নভাবে নিজ নিজ দলীয় মনোনয়ন আদায়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা এবং যোগাযোগ চালাচ্ছেন। বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যাই বেশি। তবে অন্য দিকে জামায়াতে ইসলামীর আসন ভিক্তিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন তার প্রার্থী ঠিক করতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইসলামী সংগঠনগুলো তাদের মাঠ এখনো গুছাতে পারেনি। মূলত মাঠে এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরাই রয়েছেন।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পরই বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা তৎপরতা শুরু করেন। লন্ডন-ঢাকায় যোগাযোগ রাখছেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও নিজ সমর্থকদের মধ্যে আলোচনা করে প্রার্থীতা পেতে কেন্দ্রীয় বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টায় রয়েছেন।

ভিআইপি আসন সিলেট-১

‘মিথ’ রয়েছে সিলেট-১ আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন সেই দলীয় সরকার গঠন করে। কাকতালীয়ভাবে এই ধারা চলে আসছে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগ থেকে একটিমাত্র (সিলেট-১) আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হন মরহুম খন্দকার আব্দুল মালিক। সেবার বিএনপি সরকার গঠন করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে এই মিথ সত্যি হয়ে আসছে। ১৯৯৬ সালে আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেট-১ থেকে নির্বাচিত হলে প্রথমবারের মতো একুশ বছর পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ফিরে। আবার ২০০১ সালে এম সাইফুর রহমান বিজয়ী হলে বিএনপি আবারও সরকার গঠন করে।

আগামী নির্বাচনে সিলেট জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের ৫জন উপদেষ্টা এবং তারেক রহমানের দুই উপদেষ্টাসহ দলীয় ২৯ প্রার্থী নির্বাচনের প্রত্যাশা নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। যদিও এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে কারো নাম ঘোষণা করা হয়নি। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মাঠে নেই। আমি-ডামি নির্বাচনে বিজয়ী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন গণঅভ্যুত্থানের পর আত্মাগোপনে থেকে সুযোগ মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের দুই উপদেষ্টা সরাসরি লড়াইয়ে নেমেছেন। ওদের একজন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। অপর প্রার্থী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যিনি সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সাক্ষাতের পর সিলেট-১ আসনে নির্বাচনের আগ্রহ ব্যক্ত  করেছেন।

এছাড়া জিয়া পরিবারের বিশেষ করে সিলেটের কৃতিসন্তান বেগম খালেদা জিয়ার পূত্রবধু ড. জুবাইদা রহমানকে প্রার্থী করার জন্য একটি মহল চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। প্রার্থীতার আহ্বান জানিয়ে মিছিল ও পোস্টারিং করা হলেও জুবাইদা রহমান সাড়া দেননি। ১৭ বছর পর শ্বাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেশে ফিরে ঢাকায় অবস্থান করেই তিনি লন্ডনে ফিরে গেছেন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির। গড়ে প্রতি আসনে ৫ জন করে প্রার্থী রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আসন ভিক্তিক একক প্রার্থী রয়েছেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছেন। সিলেট-১ আসনের জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান এবার প্রথমবারের মধ্যে শাহীঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত আদায় করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সভা ও সমাবেশ গণসংযোগ করছেন নগরীতে। নতুন দল এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের কোনো প্রার্থীকে মাঠে তৎপরতা দেখা যায়নি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব জানান, আসন ভিক্তিক কোনো প্রার্থীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো এনসিপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি আমরা করতে পারেনি। সিলেট-১ আসনে এনসিপির কোনো প্রার্থী নেই। তবে নিজ নিজ এলাকায় কয়েকজন গণসংযোগ করছেন।

সিলেট সদর আসনে জামায়াতের প্রার্থী বদল করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মসলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমির ও ইবনেসিনা হাসপাতাল সিলেটের ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমানকে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে সিদ্ধান্ত ছিল।

মাওলানা হাবিবুর রহমান ২০০৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-৬ আসন (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) থেকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তিনি সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়ভাবে জড়িত। ‍

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং প্রবাসী বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

প্রবাসী মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

প্রবাসী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার এম এ সালাম, তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লন্ডন প্রবাসী হুমায়ুন কবির, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মরহুম হারিছ চৌধুরীর কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটের সাবেক কাউন্সিলর অহিদ আহমদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ((শাকসু)  সাবেক জিএস মো: নুরুজ্জামান জামান, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী হেলাল উদ্দিন আহমদ ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলার পপি খান।

৫ আগস্টের পর থেকে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ছুটে আসছেন দেশে এবং নিজ নিজ এলাকায়  গণসংযোগ ও প্রচারণায় সময় দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা নানান মুখী কর্ম কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নিজ নিজ সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে পরিচিতি সভা বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান, গণসংযোগ, ইফতার মাহফিল ও সভা সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন।

সিলেট-২ ( বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর )

সিলেটের অন্যতম আলোচিত আসন সিলেট–২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ)। এই আসনে সাবেক এমপি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, আলোচিত ছাত্রনেতা ’নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলী। তিনি নির্বাচনী এলাকায় শুধু নন, সিলেটে অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনীতিবীদ হিসেবে পরিচিত। ভারতের টিপাই মূখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশবাসীর দৃষ্টি কাড়েন। ইলিয়াস আলী শুমের শিকার হওয়ার পর ২০১৮ সালে নির্বাচনে তার সহধর্মীনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার তাহসিনা রুশদীর লুনাকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তিনি নির্বাচন করতে পারেন নি। পরবর্তীতে বিএনপি এই আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে গণফোরামকে ছেড়ে দেয়। বিএনপির সমর্থনে গণফোরামের মোকাব্বির হোসেন খান এই আসনে বিজয়ী হন।

প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির নেত্রী হিসেবে একক আধ্যিপত্ব রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনার। এতদিন থেকে তিনি ছিলেন এই আসনে একক প্রার্থী। সম্প্রতি তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লন্ডন প্রবাসী হুমায়ুন কবিরের নামও আলোচনা হচ্ছে তার অনুসারীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে হুমায়ুন কবির তাঁর নির্বাচনী এলাকায় আসা যাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং এলাকাবাসীর সাথে পরিচিত হচ্ছেন। তাকেই ভাবা হচ্ছে এই লুনার দলীয় প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে। তবে মাঠে লুনাই সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত দিনে নির্বাচিত মোক্বাবির হোসেন এবং ২৪ সালের ডামি নির্বাচনের  আওয়ামী লীগের এমপি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী এই দুইজনই দেশ ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনি এলাকায় তাদের নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।

সিলেট-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে তালিকা রয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা শাখার নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান। ছাত্র-জনতার বিল্পবের পর থেকে দলটি সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত ও ভোটার কর্মী টানতে তিনি নানা কৌশলে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন। এছাড়া খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মুনতাসির আলী দলীয় অথবা জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ধর্মী ও সামাজিক অনুষ্ঠানে, ঈদ উৎসবে এলাকায় গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন। অন্য কোন দলের প্রার্থীর তৎপরতা মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে হয়েতো রাজনৈতিক দল প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে।

সিলেট–৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ)

সিলেট সদর আসনের লাগোয়া সুরমা-কুশিয়ারা নদী বেষ্টিত সিলেট-৩ আসনে এবার বিএনপির ভিআইপি প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। তবে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধী করার জন্য মাঠে রয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েল সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম,  সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, বিএনপির প্রবীন নেতা মরহুম এম এ হক পুত্র ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল।

আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী একজন দক্ষ ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে কর্মী-সমর্থকদের কাছে পরিছিত। তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবীদ। যিনি ফ্যাসিবাদের কঠিন সময়ে জেলার হাল ধরে দলকে সামনে রেখেছেন। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ভোটের মাধ্যমে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত সিলেটে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের সমন্বয়কারী ও সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের রাজনৈতিক সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

জামায়াতের দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ। খেলাফত মজলিসের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে আগ্রহী সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিলোয়ার হোসেন।

নতুন দল এনসিপি দলীয়ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত না হলেও সিলেট-৩ আসনে নির্বাচন করার আগ্রহ রয়েছে ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদের। তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী দলের কেন্দ্রীয় নেতা।

এই আসনে  বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী ডামি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিস্কৃত হন। আর আওয়ামী দলীয় ডামি এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব ৫ আগস্টের পর পালিয়ে বর্তমানে লন্ডন অবস্থান করছেন। অন্য কোনো দলের প্রার্থীদের তৎপরতা মাঠে দৃশ্যমান হচ্ছে না।

সিলেট–৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ)

সিলেটের উত্তর পূর্ব সীমান্তের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর নিয়ে সিলেট-৪ আসন গঠিত। অপরূপ সৌন্দর্য্যে লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত জাফলং, আলোচিত পর্যটন স্পট সাদাপাথর, রাতাগুল, বিছনাকান্দি, উৎমা ছড়া, পান্থুমাইসহ ছোট বড় অনেক পাথর কোয়ারি এবং পর্যটন স্পট এই আসনের মধ্যে রয়েছে।

এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অত্যন্ত ৫জন এবং জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাঠে রয়েছেন। অন্য দলগুলোর প্রার্থীরা এখন তাদের কার্যক্রম শুরু করেন নি।

বিশাল সম্ভাবনাময় এলাকা নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসনে এবার প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বিগত ১৫ বছর এককভাবে বৈধ-অবৈধ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনের সাবেক এমপি ও প্রবাসী ও কল্যাণমন্ত্রী এমরান আহমদ বর্তমানে হত্যা, টাকা পাচারসহ একাধিক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। সম্ভাবনাময় এই আসনের প্রাকৃতিক সম্পাদক লুটপাট করে খেয়েছেন এমরান আহমদ তার আস্থাভাজন ব্যক্তিরা।

আসন্ন নির্বাচনে এই আসনের দিকে চোখ পড়েছে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর। ৫ আগস্টের পর থেকে নির্বাচনি লক্ষ্য নিয়ে সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন আগ্রহী প্রার্থীরা। কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সাক্ষাত এবং তৃণমূলের সমর্থনের জন্য নানা কর্মকান্ড চালাচ্ছেন।

এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ রাজনীতিবিদ, সাবেক ছাত্রনেতা, কোম্পানীগঞ্জের এম সাইফুর রহমান কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আন্দোলন তিনি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই পুরস্কার স্বরূপ এই তরুণ রাজনীতিবিদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ লাভ করেছেন। কিছুদিন তিনি মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহানগর এলাকার অধিবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা বদরুজ্জামান সেলিম প্রবাস থেকে ফিরে নির্বাচনের আগ্রহ নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তিনি ঢাকায় মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করে প্রার্থীতার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এই আসনে আরো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও গোয়াইনঘাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী হেলাল উদ্দিন আহমদ এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, এডিশনাল পিপি এডভোকেট আল আসলাম মুমিন। তারাও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টায়  আছেন।

জামায়াত-বিএনপির বাইরে অন্য কোনো দলের তৎপরতা নেই। তবে নতুন দল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ফয়ছল আহমেদ রুবেল ব্যক্তিগতভাবে এই আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য গণসংযোগ করছেন।

সিলেট–৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট)

ভারতের সীমান্ত ঘেষা জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট আসন থেকে বিএনপি দলীয় কোনো প্রার্থী ১৯৯১ সালের পর থেকে জোট ও সমঝোতার কারণে প্রতিদ্বন্ধীতার সুযোগ পাননি। শুধু ১৯৯১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মরহুম হারিছ চৌধুরী নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর থেকে জোটের প্রার্থীদেরকেই ছেড়ে দেয়া এই আসনটি। এবার বিএনপি প্রার্থীরা আর ছাড় দিতে চাচ্ছেন না। দলীয় প্রার্থী মনোনয়নরে পক্ষে তারা একজোট হয়েছেন।

সিলেট-৫ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে একবার নির্বাচিত হন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। পরে তিনি আবারও এই আসনে জোটের মনোনয়ন পান। ২০১৮ আসনে জোটের অংশ হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রখ্যাত আলেম শায়খুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক প্রতিদ্বন্ধীতা করেন।

আসন্ন নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির অত্যন্ত ৫ জন তৎপরতা চালাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান কাজ করে যাচ্ছেন।

এবারও অন্য ইসলামী দলগুলো থেকেও এই আসনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাঠে এখনো তাদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন)। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার কথা থাকলেও জোটের প্রার্থীকে ছেড়ে দেয়ায় তিনি বঞ্চিত হন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে জড়িত। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আপ্যায়ন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিল। এজন্য তিনি ’চাকসু মামুন’ হিসেবে পরিচিত। তিনি কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের সভাপতি ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে তার অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে। তৃণমূলের মানুষের পাশে থেকে বঞ্চিত কানাইঘাট-জকিগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।

এছাড়া রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, কানাইঘাটের উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, সিলেট ল’ কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, সিলেট মহানগর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব)। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার ও কারাভোগ করেছেন। তিনি এলাকায় জনসংযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যস্ত রয়েছেন।

এছাড়া এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ((শাকসু) সাবেক জিএস বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. নূরুজ্জামান জামান এবং মরহুম হারিছ চৌধুরীর কন্যা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী।

সিলেট–৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ)

বিপুল সংখ্যক প্রবাসী অধ্যুষিত গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে এবার ভিআইপিসহ বিএনপির সর্বাধিক প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ে রয়েছেন। দেশী ও প্রবাসী বিএনপির বিভিন্ন পদধারী অত্যন্ত ৯ জন নেতা নেত্রী দলীয় মনোনয়নের উচ্ছ পর্যায়ে লবিং শুরু করেছেন। মাঠেও তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আত্মীয়স্বজন, শোভাকাংখিদের সাথে ঘরোয়া বৈঠক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। বিগত রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি ইফতার মাহফিল হয়েছে সিলেট-৬ আসনে। প্রায় প্রতিদিনই মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা দুইতিন স্থানে ইফতারের আয়োজন করেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই শিল্পপতি, বিত্তশালী ও লন্ডন-আমেরিকা প্রবাসী রয়েছেন।

বিএনপির সর্বাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে। তাকে গ্রীন সিগনাল দেয়ার পর তিনি সিলেটে তার নির্বাচনী এলাকায় রমজান থেকে ইফতার মাহফিল, গণসংযোগ, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক সময় দিচ্ছেন।

এই আসনে বিএনপির পাশাপাশি অন্য প্রার্থীরাও দলীয় মনোনয়নের জন্য মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন, যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রের সাথে। তবে এনসিপি ও ধর্মীয় দলগুলোর প্রার্থীরা এখনও মাঠে নামেননি।

এদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী ও গণ অধিকার পরিষদের এডভোকেট জাহিদুর রহমান।

সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।

এছাড়াও যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটের সাবেক কাউন্সিলর অহিদ আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্যক বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহিয়া আহমদ, জাসাসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি জিয়া পরিবারের ঘনিষ্টজন মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলার পপি খান এবং সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেছু মিয়ার মেয়ে ব্যবসায়ী সামিরা হোসেন।

এদিকে, কমর উদ্দিনের মেয়ে কাউন্সিলার পপি খান এবং সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের মেয়ে ব্যবসায়ী সামিরা হোসেন সম্প্রতি নিজ নিজ এলাকায় এসে তাদের পিতার অনুসারী, শোভাকংখী ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাক্ষত ও মতবিনিময় করে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com