1. [email protected] : Ghoshana Desk :
  2. [email protected] : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. [email protected] : Masud Khan : Masud Khan
খুলনার আধুনিক খাদ্য সংরক্ষনাগার প্রস্তুত, আগামী মাসে হস্তান্তর, ব্যয় ৩৫৬ কোটি টাকা।  - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
সাংবাদিক পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো সেই হান্নান আটক সাভারের সিহাব গ্রেফতার: ছাত্র আন্দোলনের ৪ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আটক হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং ! আলফাডাঙ্গায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ নরসিংদীতে ছাত্রদলের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ অভিযুক্ত জুয়েল বাহিনীর গ্রেপ্তার দাবি নেতাকর্মীদের আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা হরিপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক পুশ ইনকৃত ০২ জন ভারতীয় নাগরিককে বিজিবি কর্তৃক আটক মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা! সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার হামলার প্রতিবাদে আড়াইহাজারে জামাতের বিক্ষোভ মিছিল দীর্ঘ তেরো বছর পরে আগুনে ভষ্মিভুত বাড়িতে ফিরেছেন জামায়াত নেতা মোশারাফ

খুলনার আধুনিক খাদ্য সংরক্ষনাগার প্রস্তুত, আগামী মাসে হস্তান্তর, ব্যয় ৩৫৬ কোটি টাকা। 

reporter মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা
calendar প্রকাশিত: ১৬ জুন, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে ভৈরব নদীর তীরে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক খাদ্য সংরক্ষনাগার ( গমের স্টীল সাইলো) র নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে ব্যয় হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশি কোম্পানী ম্যাক্স গ্রুপ এবং তুর্কির খ্যাতনামা কোম্পানী আল- তুনতাস  যৌথভাবে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে খাদ্যশস্যের গুনগত মান বজায় রেখে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষন করা যাবে এবং খাদ্য শস্যে নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা্যায়, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষনাগার প্রকল্পের আওতায় খুলনায় আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক গমের স্টিল সাইলেটির  নির্মান কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। স্টিল সাইলোটিতে ৭৬ হাজার ২০০ মেট্রিকটন গম সংরক্ষণ করা যাবে এবং ৩ বছর পর্যন্ত গমের গুনগতমান বজায় থাকবে। কোন হাতের স্পর্শ ছাড়া সম্পুর্ন প্রযুক্তি নির্ভর ম্যাশিন দ্ধারা স্টিল সাইলোর ৬ টি ঢোল, চুল্লি বা বিনে গম সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিটি ঢোল, চুল্লি বা বিনের ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭০০ টন। প্রকল্প পরিচালক ও প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, স্টিল সাইলোর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল বিদ্যুৎ সংযোগের অপেক্ষা। ওজোপাডিকো থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পরই মেশিনারিজ টেস্টিং ও কমিশনিংয়ের কাজ শুরু হবে। তিনি জানান ১ লা জুলাই থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে প্রকল্প হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সাইলো নির্মিত হওয়ার ফলে  খুলনাঞ্চলে খাদ্য সংরক্ষণে বড় সুবিধা তৈরি হবে। বিশেষ করে দুর্যোগকালীন সময়ে নদী পথে দ্রুত খাদ্য সরবরাহ করা সহজ হবে। জানাযায়, প্রকল্পটি দুই ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অপারেশনাল এরিয়া এবং আবাসিক ব্যবস্থা ও অফিস এরিয়া। যেখানে প্রশাসনিক কার্যক্রম  ছাড়াও প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের আবাসনের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তুস্কের খ্যাতনামা কোম্পানী  আল – তুনতাস সাইলোর জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করেছে এবং কিছু কাজও করেছে। বাকী প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ দেশিয় প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ সম্পন্ন করেছে নিজস্ব জনবল, অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে। প্রকল্পের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভৈরব নদীর পাড়ে জেটি নির্মান। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, বিশ্বমানের এই জেটির কাজটি ছিল সবচেয়ে জটিল। স্টিল পাইপ ক্যাচিং পদ্ধতিতে একেকটি ৪২ ফুট দীর্ঘ পাইপ বসিয়ে এবং কংক্রিট দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর পর স্নাপদিয়ে ফিনিশিং করা হয়েছে।  জেটির ৯০ শতাংশ মালামাল এসেছে জার্মানি,তরস্ক, থাইল্যান্ড এবং যুক্তরাস্ট্র সহ বিভিন্ন দেশ থেকে। ব্যবহার করা প্রতিটি উপকরনের মান যাচাই  করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়( বুয়েট)  এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্রি বিশ্ববিদ্যালয় ( কুয়েট) । নদী পথে কার্গো থেকে গম আনলোডের জন্য জেটিতে বসানো হয়েছে দুটি আধুনিক মেশিন, এর একটি বাল্কশিপ আনলোডার ও একটি ব্যাগ আনলোডার, যেগুলো জার্মানী থেকে আমদানি করা। জার্মানির টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্টদের মাধ্যমে এগুলোর ইনস্টলেশন সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এধরনের প্রকল্পের কাজ সময়মতো শেষ করে হস্তান্তর করতে পারা একটি বড় অর্জন। ইতিমধ্যে প্রকল্পের গুনগত মান রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খুলনার জেলা প্রশাসক, প্রকল্প পরিচালক ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। খুলনা অঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ” আমদানিকৃত গমের ৬০ শতাংশ চট্রগ্রাম বন্দরে, বাকি ৪০ শতাংশ মোংলা পোর্টে খালাস হয়। মোংলা পোর্টে স্লো খালাসের কারনে কস্টিং বেশি পড়ে। এটি চালু থাকলে লাইটার জাহাজ, এসডি, সিএসডি কস্টিং কম হবে। স্টিল সাইলোতে সংরক্ষণ করা গম তিন বছর পর্যন্ত গুনগত মান বজায় থাকবে। এ অঞ্চলের গম প্রাপ্তিতে সহজলভ্যতা হবে। খাদ্য সংরক্ষণ সুসংগত হবে। খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলা সহ উওরবঙ্গে এবং নদী পথে বরিশাল বিভাগেও গম সরবরাহ করতে সক্ষম হবো।

Please Share This Post in Your Social Media

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com