ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে সিগন্যাল না মেনে কালুরঘাট সেতুতে সিএনজি ও পিকআপ ভ্যান উঠে যাওয়ার কারণে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরও সিগন্যাল মানছেন না গাড়ির চালকরা।
দিনদিন কালুরঘাট সেতুতে সিগন্যাল না মেনে উভয় দিক থেকে গাড়ি চলাচলের প্রবণতা বাড়ছে। একমুখী গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু দিয়ে একই সময়ে উভয় দিক থেকে গাড়ি চলাচলের বিষয়টি কোনো সংস্থাই দেখছে না। যার ফলে যে কোনো সময় আরো একবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরেজমিনে সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ট্রেন সেতুতে ওঠার সাথে সাথেই ট্রেনের পেছনে পেছনে সিগন্যাল অমান্য করে সারি সারি গাড়ি ওঠে গেছে। সবচেয়ে ভয়ানক যে বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে সেটা হলো–ট্রেন আসার আগে সিগন্যাল দিলেও সিগন্যাল না মেনে সেতুতে গাড়ি ওঠে যাচ্ছে এবং একমুখী এই সেতুতে একদিক থেকে গাড়ি ছাড়া হলে অপরদিকে গাড়ি বন্ধ থাকে কিন্তু একই সময় উভয় দিক থেকে সেতুতে গাড়ি ওঠে পড়ছে। এমন চিত্র দেখা গেছে সেতুতে।মোটরসাইকেল আরোহীরা কোন সিগন্যাল এর তোক্কা করেন না, যে দিক থেকে সিগন্যাল দেকনা কোন তারা সেতুর উপর মোটরসাইকেল চালিয়ে পার হবে।
আবারো মনে করে দিতে চাই গত ৫ জুন রাত ১০টায় কালুরঘাট সেতুর উপরে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজি টেক্সি, প্রাইভেটকার এবং পিকআপ ভ্যান দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় তিনজন নিহত হন। আহত হন ৫–৬ জনের মত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, ওই গাড়িগুলো সিগন্যাল না মেনেই সেতুর উপরে ওঠে গিয়েছিল। এতবড় দুর্ঘটনার পরও সেতু পারাপারে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল চালক, সিএনজি টেক্সি ও টেম্পু চালকরা সিগন্যাল মানছেন না।
স্থানীয়দের দাবি গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা রোধে উভয়পাশে ট্রাফিক পুলিশের বক্স স্থাপন করলে তবেই কেউ সিগন্যাল অমান্য করতে পারবে না। সেতুর উভয়পাশে পুলিশ না থাকায় বোয়ালখালী অংশে ইজারাদারদের বাঁশের ব্যারিকেড কেউ মানছেন না।