গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর নামা বাজার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইমন সরকারের নেতৃত্বে চলছে চাঁদা বাজী। জানা যায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাইমন সরকার দলীয় সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও কাশিমপুর বাজার ইজারাদা নিয়েছেন।
এই নামা বাজার সংলগ্ন তুরাগ পাড়ে গড়ে উঠেছে একটি পর্যটন স্পট সেই স্পটকে কেন্দ্র করে রাস্তার মাঝেই অবৈধভাবে বসেছে ভ্রাম্যমান দোকান। যেখানে বাদাম, চটপটি, তালের শাস, হালিম, ফুচকা সহ বিভিন্ন খাবারের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা।
আর এসব দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে ‘খাজনা’ আদায় করছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একাংশ । স্থানীয় দোকানিদের অভিযোগ, বিকেল চারটার পর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইমন সরকারের ড্রাইভার আলম সরকার সোহরাব নামে এক ব্যক্তি নিয়মিত এই টাকা সংগ্রহ করে।
একাধিক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা বাধ্য হচ্ছি টাকা দিতে। টাকা না দিলে মারধরের শিকার হওয়াসহ দোকান উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়। অনেকেই ভয়ে পুলিশ বা প্রশাসনকে কিছু বলতে পারছেন না । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই পর্যটন স্পটটি মূলত তুরাগ নদীর পাড়ে রাস্তায় আর রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে দোকান পাট।
তবে রাস্তার পাশ দিয়ে দোকান বসানোর কারণে যানজট ও পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়া, চাঁদাবাজির ঘটনায় এলাকায় অস্বস্তি বিরাজ করছে। কিছু দোকানি অভিযোগ করেন, টাকা না দিলে আমাদের ওপর হামলা বা দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আবু নাছের আলামিন সহকারী পুলিশ কমিশনার কোনাবাড়ি জোন বলেন উক্ত স্থানে একটি পর্যটন স্পট হয়েছে এটা জানি কিন্তু চাঁদাবাজির বিষয়টি আমাদের জানা নেই, তবে তদন্ত সাপেক্ষে যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়রা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর সরকার ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে সংগঠনটির অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপনে থাকলেও কিছু সদস্য বিভিন্ন অঞ্চলে অনিয়ম ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে । কাশিমপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ আসেন, কিন্তু এই অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া দরকার। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের এমন কর্মকাণ্ড প্রশাসনের নজরদারির ঘাটতি ফুটিয়ে তুলেছে। স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।