চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরসহ (৪৪) দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৈকতের পশ্চিম পাশে এই ঘটনা ঘটেবলে জানান পুলিশ। পুলিশ জানান, এসময় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে গুলিতে আহত হয়েছেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির এক কর্মকর্তা।
পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক।
নূরল আলম আশিক বলেন, পতেঙ্গা থেকে গুলিবিদ্ধ দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে দুই নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। তাদের একজন ঢাকাইয়া আকবর।
আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত আকবর ও সরোয়ার।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর বলেন, পুলিশ এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি যিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তার নাম নাকি ঢাকাইয়া আকবর। তিনি একজন মহিলা এবং অন্য চারজন ছেলেসহ মোট ৬ জন একটি দোকানে নাস্তা করার জন্য বসেছিলেন। তখন রাত সাড়ে ৮টার মত।
এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলে করে চারজন যুবক ঘটনাস্থলে এসে ঢাকাইয়া আকবরকে লক্ষ্য লরে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এসময় আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি তবুও গুলিবিদ্ধ হন।
এসময় সময় হঠাৎ করে সৈকত এলাকায় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে সৈকতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দর্শনাথীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবরসহ একজন দর্শনার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঢাকাইয়া আকবরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। কারা গুলি করেছে তা জানা যায়নি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের এক টুরিষ্ট সদস্য জানান, আকবরের সাথে থাকা চারজন ছেলে এবং একজন মহিলা ছিলেন। যখন গুলি করে তখন ঐ যুবকরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর মহিলা যিনি ছিলেন তিনি গুলিবর্ষণকারীদের সাথে চলে গেছেন।
এদিকে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে পুলিশে দেওয়ার পেছনেও ঢাকাইয়া আকবরের হাত রয়েছে—এমন ধারণা সাজ্জাদের। সেই ক্ষোভ থেকেই আকবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হতে পারে বলে পুলিশ ধারনা করছেন।
Leave a Reply