নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালিয়া গ্রামে প্রবাসী হৃদয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। তারা দাবি করেছেন, স্থানীয় প্রভাবশালী এক নারীর মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের ফাঁসানো হয়েছে।
খাদিজা নামের এক নারী হৃদয়ের (১৭) বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভধারণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় হৃদয়ের বয়স ২৪ এবং খাদিজার বয়স ১৭ বছর দেখানো হলেও বাস্তবে হৃদয় এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং খাদিজার প্রকৃত বয়স ২৪ বছর, যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। মামলার ১০ মাস পার হলেও এখনো সন্তানের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, খাদিজা এর আগে একাধিকবার বিয়ে করেছেন এবং আগেও সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটেছে। মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তারা। এই ঘটনায় হৃদয়ের বাবা-মাকে কারাগারে যেতে হয়েছে এবং হৃদয় মামলার ভয়ে পলাতক রয়েছে, ফলে সে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী আবুল কাশেম জানান, মামলাটি ‘ম্যানেজ’ করার কথা বলে এসআই শাহীন প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন এবং পরে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন, “ডিএনএ টেস্ট করানোর আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছে, কিন্তু পরে আবারও টাকা চাইছে। এটা নিছক ষড়যন্ত্র।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত এসআই শাহিনুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে তা স্থানীয় কিছু লোকের মাধ্যমে হয়েছে। আমি এতে জড়িত নই।”
মনোহরদী থানার ওসি আব্দুল জব্বার বলেন, “ডিএনএ টেস্ট ছাড়া দোষ প্রমাণ সম্ভব নয়। আর টাকার বিষয়টি তদন্তাধীন, থানার কেউ জড়িত নয়।”
এদিকে, খাদিজার পরিবার জানিয়েছে, তাদের মেয়ের জবানবন্দির ভিত্তিতেই হৃদয়কে আসামি করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, গ্রাম্য মাতব্বররা আপোষে মীমাংসার চেষ্টা করলেও হৃদয়ের পরিবার রাজি না হওয়ায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে হৃদয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
Leave a Reply