চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় গত বুধবার (২১ মে) হাজিরহাট আমতল দরগাহ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় আয়োজিত একটি তথাকথিত মেডিকেল ক্যাম্প ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘পুরো শরীরের চেকআপ’ করার নামে ৩০০ টাকা করে আদায় করছিল একটি দল, যারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দাবি করলেও তাদের কার্যক্রম ছিল সন্দেহজনক।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আয়োজকরা দাবি করেন তারা ল্যাপটপের মাধ্যমে শরীরের সকল রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম, কোনো ল্যাব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। অথচ সাধারণভাবে শরীরের পূর্ণাঙ্গ চেকআপে আধুনিক ল্যাব এবং জটিল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই ক্যাম্পে ছিল শুধু একটি ল্যাপটপ, একটি ডায়াবেটিস মাপার মেশিন এবং একটি ওজন মাপার যন্ত্র।
স্থানীয় একজন ব্যক্তি আয়োজকদের কার্যক্রমে সন্দেহ হলে তাদের কাগজপত্র দেখতে চান। আয়োজকরা দাবি করেন, তারা বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুমতি নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু যখন এসব অনুমতির প্রমাণ চাওয়া হয়, তখন তারা তড়িঘড়ি করে ক্যাম্প গুটিয়ে সরে পড়েন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আয়োজকরা বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে একই ধরনের ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। কেউ কেউ বলেন, ডাক্তারি ভিজিট নিচ্ছেন না ঠিকই, তবে ৩০০ টাকা নিয়ে “পুরো শরীর চেকআপ” করার দাবি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। এত সীমিত যন্ত্রপাতি দিয়ে এ ধরনের সেবা কতটা কার্যকর বা নিরাপদ, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন, প্রশাসনের নজরদারি ও যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন, যাতে এমন প্রতারণামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতে ঠেকানো যায়।
Leave a Reply