ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নে ধলেশ্বরী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজারের ব্যবসার বিস্তার লাভ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নাহিদ,বক্বর ঠাকুর এবং উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় নাহিদ দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে ড্রেজার পরিচালনা করে আসছেন। অন্যদিকে, যুবদল নেতা সাইফ ইউনোর (UNO) ডাইভার ইউনুসের মাধ্যমে ব্যাবসা করে একটি দৈনিক প্রত্রিকায় (স্বাধীন সংবাদ) প্রতিবেদটি উঠে এসেছে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং নদীর পাড় ধসে যাচ্ছে। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কারো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। এই মাটি খেকোদের কাছে তারা বলে সাংবাদি ও প্রসাশনকে আমরা ম্যানেজ করে বারি উত্তলোন করি। এতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না। এরা সবাই আমাদের ভাই ব্রাদার। আমরা সকলকে সাথে নিয়ে বালু উত্তলোন করে আসছি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে এই অবৈধ ড্রেজার কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। এই বিষয়ে কেও কোন কর্ণপাত করছে না। যেখানে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলেন এটিকে বলা হয় আত্নঘাতিক মানে হলো এক জায়গা থেকে বালু উত্তলোন এর ক্ষেত্রে আশপাশের জমি নদীর পার বাড়ি ঘড় গুলো যে কোন সময় নিচের দিকে তলিয়ে যায়। এরই নাম হলো আত্নঘাতিক। আসলে এই বালু খেকোরা যে ভাবে কোন নিয়ম না মেনে প্রশাসন কে বৃদ্বা আঙ্গুল দেখিয়ে দিনের পর দিন সরকারী নদী থেকে বালু উত্তলন করে নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছেন। এদের বিরুদ্বে কোন ব্যাবস্থা না নিলে যেমন ক্ষতি হচ্ছে নদীর পার তেমনি করে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ নিরহ জনগণ। এদের ভয়ে সাধারণ জনগণ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। দিন দিন এদের অত্যাচার বেড়েই চলছে।এদের বিরুদ্বে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য জনগণের দাবি। (এটি একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন)
Leave a Reply