মুলাদী উপজেলা দেখতে ব দ্বীপের মত । এই উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা অবস্থিত রয়েছে।সবদিক থেকে মুলাদী উপজেলা নদ নদী দিয়ে বেষ্টিত।পশ্চিম পাশে আড়িয়াল খাঁ পূর্বপাশে নয়া ভাঙ্গনী নদী। এই দুই নদীকে ভাইয়ের মত সংযোগ করে রেখেছিল পৌর সদরের বুক চিরে জয়ন্তী নদী।১৯ ৯০ দশকে খরস্রোত নয়াভান্গনি ও জয়ন্তী নদী মুলাদী উপজেলা সদর (মুলাদী বাজার) ভেঙ্গেচুরে নদীর গর্ভে চলে যায় অনেক অংশ। এই নদী দিয়ে বড় বড় লঞ্চ জাহাজ চলাফেরা করতো।একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল প্রশাসনের। জয়ন্তী নদীর মাঝ পথে বাঁধ দিয়ে দিতে পারলে এই ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব।১৯৯১ সনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকার গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার স্নেহভাজন হিজলা মুলাদীর উন্নয়নের রূপকার জনবান্ধব নেতা (বরিশাল ৩) আসনে বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্য জনাব আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন মঙ্গুর অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সরকারি অর্থ ও জনগণের সহযোগিতায় ১৯৯২ সালে মুলাদীর খরস্রোত জয়ন্তী নদীর মাঝপথে মুলাদী + চর ডিগ্রি সংযোগ মুলাদি রক্ষা বাঁধ দিতে সক্ষম হন। আমাদের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না ইতিহাস ধরে আগামী দিনের পথ চলা।৪ নভেম্বর ১৯৯২ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই বাঁধ দিয়ে জনসাধারণের চলার পথ উন্মুক্ত করে দেন। তারপর থেকেই নয়া ভাঙ্গনী নদী ধীরে ধীরে চর জাগতে থাকে, তাতে করে মুলাদী বন্দর রক্ষা পায়। সাথে সাথে মৃত্যু হতে থাকে ভালবাসার জয়ন্তী নদী। আজ দেখছি দুর্বৃত্ত ক্ষুধার্ত অনেক মানুষ দিনের পর দিন সেই জয়ন্তী নদী দখল করার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্র তৈরি হয়। ইতিমধ্যে অনেক অংশ দখল হয়ে গেছে। এক সময় উপজেলা প্রশাসন (ইউ এন ও )মহোদয় জয়ন্তী নদী বাঁধ দখলমুক্ত অনেকটাই করেছিলেন।পরে আবার প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে দিনের আলোতে দখল করে নেন। জয়ন্তীকে এখন আর নদী বলা যাবে না শুধু একটি মৃত ডোবায় পরিণত হয়েছে। কালো রঙের পানি ব্যবহার অযোগ্য আর ময়লা আবর্জনা কচুরি বানায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।স্থানীয় সচেতন পৌরবাসীর আবেদন জয়ন্তী নদী রক্ষা করা খুবই দরকার। জয়ন্তী নদীকে সংরক্ষণ করে বাঁচিয়ে তুলতে পারলে মুলাদী পৌর শহরের সৌন্দর্য আরো অনেকটা বৃদ্ধি হতে পারে । সাথে সাথে অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী
Leave a Reply