গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর সারদাগঞ্জ স্কয়ার গেট এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, জবরদখল ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নেতা সারোয়ারের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীর দাবি, গত ৫ আগস্টের পর তিনি তিনটি বাড়ি দখল এবং মাদক ব্যবসার পাশাপাশি গার্মেন্টস শ্রমিক সহ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সারোয়ার নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন সারোয়ার ।
তিনি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলেও তার নেই কোন নিজস্ব বাড়ি তিনি এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ধরে এনে জিম্মি করে অর্থ দাবি করছেন।
শুধু তাই নয় করেন মাদক ব্যবসা ও সেবন এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সারোয়ারের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে( ২০ মে) দুপুরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী,
এবিষয়ে সোহরাব হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাসহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, *”সারোয়ার ও তার সঙ্গীরা আমাদের এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তারা যেকোনো প্রতিবাদকারীকে হুমকি দেয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় চাইছি।”
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) জানায়, তারা এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
স্থানীয় প্রশাসন আরো বলেন অবৈধ কর্মকাণ্ডের কোনো প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবো।”
এদিকে, বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সারোয়ারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন।
তারা বলেন, “কোনো ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় দলের ওপর বর্তায় না। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা সমর্থন করি।
এলাকাবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবিলম্বে সারোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন তারা।
Leave a Reply