1. masudkhan89@yahoo.com : Ghoshana Desk :
  2. zunayedafif18@gmail.com : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. masudkhan89@gmail.com : Masud Khan : Masud Khan
আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের গণশুনানি কর্মশালা অনুষ্ঠিত: টেকসই সেচ ব্যবস্থায় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
নৌবাহিনীতে চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা : ৩৮ প্রার্থী উদ্ধার, ৯ প্রতারক গ্রেফতার। মুলাদীর প্রাণের জয়ন্তী নদী অবৈধ দখলদারীদের দখলে। সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না: বিএমএসএফ হেতিমগঞ্জের কতোয়ালপুরে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে চার শতাধিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকে ধাক্কা নিহত ১ কুয়েট ভিসিকে শিক্ষকদের ২৪ ঘন্টা আল্টিমেটাম। আগৈলঝাড়ায় বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত  যুক্তরাষ্ট্রে মতবিনিময় সভায় খন্দকার মুক্তাদির শহীদ জিয়ার আদর্শ লালন করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে শিবপুরে জলাবদ্ধতায় মাছ-ধানের ব্যাপক ক্ষতি আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের গণশুনানি কর্মশালা অনুষ্ঠিত: টেকসই সেচ ব্যবস্থায় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন

আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের গণশুনানি কর্মশালা অনুষ্ঠিত: টেকসই সেচ ব্যবস্থায় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন

👤 মোঃবেলায়েত হোসেন, পলাশ, নরসিংদী
🗓️ ২০ মে, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ   

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর উদ্যোগে ২০মে মঙ্গলবার সকালে ১০ ঘটিকায় পলাশ উপজেলা কনফারেন্স রুমে “আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন” বিষয়ে এক জনমত যাচাই ও গণশুনানি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পটি ১৯৯২ সাল থেকে বিএডিসি পরিচালনা করে আসছে। এটি মূলত ঘোড়াশাল ও আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শীতলীকরণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত পানিকে পুনর্ব্যবহার করে কৃষিকাজে ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলা একটি সেচ প্রকল্প। প্রকল্পটি পঞ্চম ধাপে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর আওতায় রয়েছে তিনটি উপজেলা—পলাশ, নরসিংদী সদর ও শিবপুর। এ ছাড়াও বিদ্যমান আশুগঞ্জ উপ-প্রকল্পটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চারটি উপজেলায় বিস্তৃত।

প্রকল্পটির পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নে উঠে এসেছে বিভিন্ন দিক। এর আওতাধীন খালসমূহ যেমন বোয়ালিয়া, জাফর খান বদগুলি, বুঢা খাল, লাউয়াই প্রভৃতি খাল এবং শীতলক্ষ্যা ও হাড়িদোয়া নদী প্রকল্প এলাকার প্রধান পানির উৎস। ভবিষ্যতের জন্য টেকসই পানির উৎস হিসেবে মেঘনা নদীকে বিবেচনায় আনার প্রস্তাব এসেছে।

গণশুনানিতে আলোচিত হয়, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত পানি পুনরায় নদীতে ফেরত পাঠানোর সময় কিছু অংশ রেগুলেটরের মাধ্যমে সেচ খালে ডাইভার্ট করা হয়। বর্তমানে ৩২টি রেগুলেটর দিয়ে পানি বিতরণ করা হলেও কিছু এলাকায় এখনো সেচের পানি পৌঁছায় না।

গণশুনানিতে বক্তাদের মতামত
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলার ভূমি কমিশনার এ এইচ এম ফখরুল হোসাইন। তিনি সরেজমিনে কৃষকদের পানির সংকট দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “জিনারদি ইউনিয়নের উত্তর চন্দন থেকে শানের বাড়ি পর্যন্ত অনেক কৃষক পানি পাচ্ছেন না। শানের বাড়ির এলাকায় তিনি দেখতে পান পানির রং কালোএতে শানের বাড়িতে ৮-৯ টা মুরগির খামার আছে বলেই উল্লেখ করেন। খামারিদের ফেলা ময়লা ও আবর্জনা পানিকে কালো করছে এবং তিনি আরো বলেন একটি টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সকলে মিলে যাতে ময়লা আবর্জনা একটি স্থানে ফেলা যায় যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয়।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, “সুন্দর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি সাফল্য পেতে পারে। তবে এর জন্য কৃষকদের সঙ্গে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুর মোল্লা বলেন, “সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব।”

কৃষকদের পক্ষ থেকে মোঃবাচ্চু মিয়া বলেন, “৩৫ বছর ধরে চাষ করছি। পানি না পাইলে ৮০০, ৯০০ বিঘা জমিতে চাষ বন্ধ হয়ে যাইবো ।” দাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, “স্যার খালটা খনন কইরা দেন খাল খনন না করলে পানি আমগো দিকে আইত না আর পানি না আইলে আমরা চাষবাস কেমনে করমু এবং আমগো এলাকাত একটা সুইজগেট কইরা দেন যাতে আমরা সুইট গেট ব্যবহার কইরা সঠিকভাবে পানি ব্যবহার করতে পারি।
এছাড়া উপস্থিত বক্তারা এই প্রকল্পের সুফল সম্পর্কে বলেন,
“মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি: প্রকল্প বাস্তবায়নের পর মাছ উৎপাদন বর্তমান ৭১০৯ মেট্রিক টন থেকে আরও ১০০০ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পাবে।
কর্মসংস্থান: প্রায় ৮৮ হাজার ৩৭৫ কর্মদিবস কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
সেচাধীন এলাকা বৃদ্ধি: পলাশে সেচাধীন এলাকা ১০,৫৬৫ হেক্টর থেকে ১১,২৭২ হেক্টরে উন্নীত হবে।
বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়ন: খাল পুনঃখননের মাধ্যমে প্রাকৃতিক জলাশয় ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা, পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং কৃষকদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। এই প্রকল্প দেশের কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com