প্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI (Artificial Intelligence) এখন আর শুধু গবেষণাগারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ChatGPT, Google Bard, Microsoft Copilot-এর মতো মানবসদৃশ AI চ্যাটবট এখন বাস্তব জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। তথ্য খোঁজা, কনটেন্ট লেখা, কোড তৈরি, এমনকি মানুষের মতো কথাবার্তা বলাও এখন AI-এর জন্য সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে বহু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে AI ব্যবহার করে কাস্টমার সার্ভিস, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সংবাদ প্রকাশনা ও বিজ্ঞাপন খাতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত AI প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবসদৃশ AI-চ্যাটবট যেমন ChatGPT মানুষের মত করে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, এমনকি বিভিন্ন বিষয়ের বিশ্লেষণ, অনুবাদ, প্রেস রিলিজ লেখা কিংবা ভিডিও স্ক্রিপ্ট বানানোর কাজেও সাহায্য করছে। এতে যেমন সময় ও খরচ বাঁচে, তেমনি দ্রুততার সঙ্গে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি সম্ভব হয়।
তবে এআই ব্যবহারের সঙ্গে কিছু সতর্কতা ও চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভুয়া তথ্য, পক্ষপাতমূলক বিশ্লেষণ, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা চলছে। শিক্ষাবিদ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিকভাবে ও নীতিমালার মধ্যে থেকে AI ব্যবহারে অভূতপূর্ব সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে AI প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। শিক্ষাখাত, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে চলমান AI বিপ্লব বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্ভাবনা তৈরি করছে। দক্ষতা বাড়ানো ও প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্ব দিলে ভবিষ্যতের AI-চালিত বিশ্বে বাংলাদেশও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply