প্রতিবেদক: নরসিংদী জেলা
১২ মে রাতে কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি ১৩ মে দুপুরে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ।
এর আগে, ১০ এপ্রিল পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হামলার শিকার ব্যক্তি মো. মোজাম্মেল হক, যিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট এবং পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে খানেপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘোড়াশাল সারকারখানার গেট এলাকায় ছাত্রদল নেতা আমান উল্লাহ তার গতিরোধ করেন ও চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমানসহ তার সহযোগীরা মোজাম্মেল হকের ওপর হামলা চালায়।
অভিযোগে বলা হয়, আমান উল্লাহ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মোজাম্মেলের কপালে আঘাত করেন এবং অন্যরা ছুরি দিয়ে শরীরের নিচের অংশে একাধিকবার আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, হামলাকারীরা মামলা না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব ভূইয়া বলেন, “তাদের কেউ সংগঠনের অনুমোদিত কমিটির নেতা নয়। জেলা ছাত্রদলের কোনো আন্দোলন-সংগঠনে তাদের সম্পৃক্ততা ছিল না। কেউ ব্যক্তি পর্যায়ে নেতা বলে পরিচিত হয়ে থাকতে পারে, তবে অপরাধ সংগঠনের দায় নয়।”
র্যাব-১১ কর্মকর্তা সাদমান ইবনে আলম বলেন, “সাবেক সেনা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধী হিসেবে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।”
Leave a Reply