প্রতিবেদক: মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে তালের শাঁস খেতে ভিড় করছে শিশু-কিশোরেরা।
গ্রীষ্মের এ সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, স্কুল-কলেজের পাশের রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা মিলছে তাল শাঁস বিক্রেতার। তৃষ্ণার্ত পথচারী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, রিকশাচালক ও দিনমজুর সবাই একটুখানি ঠান্ডার স্বাদ পেতে ভিড় করছেন।
বাঞ্চারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করছেন তাল শাঁস। কেউ কেউ আবার দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে তাল শাঁস সংগ্রহ করে এনে বাজারে বিক্রি করছেন জীবিকার আশায়। এভাবে প্রায় শতাধিক পরিবার গরমকালীন এই মৌসুমি ফল বিক্রি করে আয় করছেন।
উপজেলার মাতুর বাড়ির মোরে তাল শাঁস বিক্রেতা মো. হোসেন মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর মধুমাসে আশেপাশের এলাকা থেকে তাল শাঁস কিনে এনে বিক্রি করি। “প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা বিক্রি হয়। এ ব্যবসা মাত্র তিন মাস চলে। গাছে তাল বড় ও ভেতরের কুশ শক্ত হয়ে গেলে এটা আর বিক্রি করা যায় না। তাহলে আবার পাকলে বিক্রি করতে হয়।”
গ্রীষ্মের এই দিনে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। পাকা তালের পূর্ব অবস্থাটির নামই হলো তালের শাঁস। এর নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিক্রেতা শাঁস কাটছেন। পাশে আরও অনেক ক্রেতারা দাঁড়িয়ে থাকেন শাঁস নেওয়ার জন্য। উপজেলার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে চলছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম। তালের শাঁস অতি সুস্বাদু হওয়ায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে এটি জনপ্রিয় ফল। রোদ কমার আগেই অনেক জায়গায় শেষ হয়ে যাচ্ছে এই চাহিদাসম্পন্ন ফলটি।
তাল শাঁস শুধু স্বস্তিই দেয় না, “অনেকেই বলতে পারেন তালের শাঁস আবার এমন কী উপকারী ফল। গরমে শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখে তালের শাঁস। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও সমাধান করে এই ফল। এ ছাড়া তালের শাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এ ফল শরীরে শক্তি জোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।”
Leave a Reply