প্রতিবেদক: নিজস্ব
উজ্জল দাস ও রাসেল সিকদারের নেতৃত্বে খুলনার খালিশপুরে গড়ে উঠেছে মাদক – জুয়ার রমরমা ব্যাবসা। স্বৈরাচার আওয়ামী দোসদের ছত্রছায়ায় বিগত দিনে মাদক জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করলেও এখন গড়ে তুলেছে ত্রাশের সাম্রাজ্য। চুন থেকে পান খসলেই চলে পাশবিক নির্যাতন। হাউজিং বাজারের শাহী বিরিয়ানির গলিতে গড়ে তুলেছে টর্চার সেল। সম্প্রতি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ডিগ্রির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন (আপন) ছাড়াও তাদের হামলার শিকার হয়েছেন আপনের মেঝো ভাই খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। ভুক্তভোগী পরিবার এমনি অভিযোগ দাখিল করেছেন খালিশপুর থানা ও মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মহানগররের অন্তর্ভুক্ত খালিশপুর থানার ১২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি পদে থাকলেও উজ্জল দাস প্রকৃতপক্ষে হাউজিং বাজারের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার নেতৃত্বে এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। ১০ থেকে ১২ জনের একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে তার। মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে।২০১৮ সালের ২৪ মার্চ খুলনা গোয়েন্দা পুলিশ ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ উজ্জ্বল দাসকে গ্রেফতার করে যার মামলা নং ৩৫ জিআর ১১৬/১৮ মাদক। তাছাড়া তার নামে খালিশপুর থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। এছাড়া উজ্জ্বলের অন্যতম সহযোগি আওয়ামী দোসর রাসেল সিকদার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জুয়া ও মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার পতনের পর ব্যবসার পার্টনার হয় উজ্জ্বল দাস। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাসেল সিকদার প্রকাশ্যে হাউজিং বাজারে অনলাইন জুয়ার ডিলারশিপ পরিচালনা করে এসেছে। যা এলাকার সকলের কাছে প্রকাশ্য। অপরদিকে উজ্জ্বল দাসের আরেক সহযোগী আওয়ামী চিহ্নিত সন্ত্রাস রানা হাউজিং বাজার ও খালিশপুর এলাকায় ফেন্সিডিল,গাজা ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। তারা এখন বিএনপি’র বড় বড় প্যানা টানিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। উজ্জ্বল দাসের এ সকল কর্মকান্ডে যুবদলসহ বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট সহ আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র ভোটের ক্ষতি হতে পারে ধারণা স্থানীয়দের। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আওয়ামী দোসেররা রূপ বদলেছে। যারা আওয়ামী দোসরদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে মাদক ও জুয়ার ব্যাবসা পরিচালনা করে এসেছে,তারাই এখন বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হাউজিং বাজার এলাকায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের ছবির সঙ্গে তাদের বড় বড় প্যানা পোস্টার টানিয়েছে।এখন তারা বিএনপি’র সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে ইয়াবা,গাজা,ফেন্সিডিলসহ জুয়ার ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, উজ্জল দাস বর্তমানে খালিশপুর থানা যুবদলের নাজমুল হোসেন বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর অনুসারী, উজ্জল দাস সহ তার মাদক, জুয়ার সিন্ডিকেটের খবর বহুবার পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে? আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক সহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন হাউজিং বাজারে প্রকাশ্যে যেভাবে, ইয়াবা,গাজা,ফেন্সিডিল ও জুয়ার ব্যাবসা বন্ধ সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে তারা সহ তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে?
Leave a Reply