প্রতিবেদক: রফিকুল ইসলাম সিরাজী ,কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে সাবেক যুব দলের এক কর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে খুব ঠান্ডা মাথায় খুব কাছ থেকে হত্যা করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সোমবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের মারাক্ষা ঘোনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মামুন (৩২)। তিনি উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরা ঘোনা এলাকার মৃত রসুর ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভোর রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে ভোর সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনের সঙ্গে স্থানীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের বড় ভাই উকিল আহমেদ জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুব কৌশলে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজি গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করেছে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এদিকে গুলির শব্দ শুনে এলাকায় লোকজন এগিয়ে আসলে মারাক্ষা ঘোনা এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনার পেছনে উত্তর ঝাপুয়া, আঁধারঘোনা ও মিজ্জির পাড়া পাহাড়ে আস্তানা করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত রয়েছে বলে তাঁর ধারণা।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রুহুল কাদের বাবুল জানান, পরিকল্পিত সিরিজ হত্যা চলছে নিয়মিত। প্রশাসন নীরব কেন? জনগণ জানতে চায়। গত মাসে একই কায়দায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপির নিবেদিত কর্মী আবু আহমেদ মারা যায়। পুলিশ এর দায় এড়াতে পারেনা। তিনি আরও জানান, আঁধার ঘোনা ও মিজ্জির পাড়া পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের অবস্থান। সেখানে অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুনকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply